১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মিঠাপুকুরে মুখ থুবড়ে পড়েছে ধান চাল সংগ্রহ অভিযান

-

মৌসুমের শেষ সময়ে হাটেবাজারে কমেছে, আমন ধানের সরবরাহ। প্রান্তিক কৃষকদের কাছে ধান নেই। বাজারে এখন বিক্রির জন্য বড় বড় কৃষক ও ব্যবসায়ীরা ধান নিয়ে আসছেন। চিকন সুগন্ধী ধানের দাম কমে গেলেও মোটা ধান বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। অতিবৃষ্টি, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ফলন কম হওয়ার কথা বলেছেন কৃষকরা। এ দিকে মুখ থুবড়ে পড়েছে ধান চাল সংগ্রহ অভিযান।
জেলার মিঠাপুকুর উপজেলায় এবার আমন ধান চাষের লক্ষমাত্রা ছিল ৩৭ হাজার ১২৩ হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রা ছড়িয়ে ৩৮ হাজার হেক্টর জমিতে এক লাখ ৮ হাজার মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হয়েছে বলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল আবেদীন জানান।
সদর উপজেলা শঠিবাড়ী হাটে সকাল থেকে বিভিন্ন যানবাহনে কৃষকরা ধান নিয়ে আসলে চিকন ধান প্রতি বস্তা ২০০ থেকে ৩০০ টাকা কমে বিক্রি করতে হয়েছে। তবে মোটা হাইব্রিড ২৮-২৯, বিনা-৭, স্বর্ণ, গুটি স্বর্ণ, সুমন স্বর্ণ প্রতি বস্তা বিক্রি হয়েছে দুই হাজার ২০০ থেকে দুই হাজার ৩০০ টাকায়। কৃষকরা জানান, চিকন ধান ৩৩ টাকায় বিক্রি করে তাদের লোকসান হচ্ছে।
এ দিকে ক্রেতারা বলছেন, ধানের সরবরাহ কম থাকায় মোটা ধান বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। সরকারের ঘোষিত কৃষি প্রণোদনা এখনো এ অঞ্চলের কৃষকরা পাননি বলে দাবি করেছেন কৃষকরা। প্রধানমন্ত্রী পাঁচ হাজার টাকার কৃষি ঋণ বা প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন ২ শতাংশ সুদে। এখনো পর্যন্ত রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ব্যাপকসংখ্যক কৃষক এই ঋণ থেকে বঞ্চিত।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অমুল্য কুমার বলেন, সরকার এবার আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বাজারে যাতে উচ্চমূল্য দেখা না দেয়। বর্তমানে বাজার মূল্য স্থিতিশীল আছে। তথাপি আমরা খাদ্য বিভাগের পক্ষ থেকে প্রধান প্রধান হাটগুলো আমরা নিয়মিত মনিটরিং করছি।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অমুল্য কুমার জানান, সরকারি মূল্যের চেয়ে বাজারমূল্য বেশি হওয়ায় কৃষকরা ধান বিক্রিতে অনীহা প্রকাশ করছেন। উপজেলার শঠিবাড়ী (এলএসডি) খাদ্যগুদামের (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা আকলিমা খাতুনও একই কথা বলেন। এবার সরকারিভাবে প্রতি কেজি ধান ২৮ টাকা ও প্রতি কেজি চাল ৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement