২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কুয়াকাটায় বনের জায়গা দখল তালিকায় ৩৭৮ জন

কুয়াকাটায় বন বিভাগের জায়গা দখল করে ফসল আবাদ চলছে : নয়া দিগন্ত -

পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটায় বন বিভাগের সংরক্ষিত বনভূমি দখল চলছেই। দখলদাররা বন ধ্বংস করে বাড়িঘর তুলে দখল অব্যাহত রেখেছে। আবার অনেকে বনের গাছপালা কেটে কৃষিজমি তৈরি করে চাষাবাদ করছে। গত এক বছরে বন বিভাগ কুয়াকাটায় ১০০ একরের বেশি বনভূমি দখলদারদের কাছ থেকে উদ্ধার করেছে। তবে এখনো ২৫১ দশমিক ৭৪ একর বনভূমি ৩৭৮ জন দখলদারের দখলে রয়েছে।
একই স্থান থেকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত উপভোগের বিরল সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা। সৈকত ঘেঁষে রয়েছে সংরক্ষিত বিশাল বনাঞ্চল। এক সময় কুয়াকাটার সৈকত ঘেঁষা নারকেল বাগান, জাতীয় উদ্যানের ঝাউ বাগান, ম্যানগ্রোভ বন পর্যটকদের আরো আকৃষ্ট করে তুলত। কিন্তু সেই বনভূমি জবরদখল হয়ে যাচ্ছে। বনের গাছ কেটে সেখানে দখলদাররা বসত বাড়ি তুলছে, গাছপালা সাবার করে কৃষিজমি বানিয়ে
চাষাবাদ করছে।
মহিপুর রেঞ্জের লতাচাপলি ও গঙ্গামতি মৌজায় বনের মোট আয়তন তিন হাজার ৫০৩ একর। এর মধ্যে লতাচাপলি মৌজায় দুই হাজার ১৬৫ একর এবং গঙ্গামতি মৌজায় এক হাজার ৩৩৮ একর। কুয়াকাটাকে পর্যটকদের কাছ আরো আকর্ষণীয় করতে প্রতি বছরই নতুন বাগান গড়ছে বন বিভাগ। কিন্তু সেই বাগান ধ্বংস করে ৩৭৮ জন ২৫১ দশমিক ৭৪ একর বনভূমি জবরদখল করেছে। এর মধ্যে লতাচাপলি মৌজায় ৫৬ জনে দখল করেছে ১৮৬ দশমিক ৮০ একর এবং গঙ্গামতি মৌজায় ৩২২ জনে দখল করেছে ৬৪ দশমিক ৯৪ একর বনভূমি।


সংরক্ষিত বনের ভেতরেই সাইফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি ৬৫ শতাংশ জমির ওপর বসতবাড়ি নির্মাণ করে সেখানে সপরিবারে বসবাস করছেন। এ ছাড়াও পাশেই বনের গাছপালা কেটে তৈরি প্রায় এক একর কৃষিজমি তৈরি করেছেন। সেখানে তিনি চাষাবাদ করছেন। বন বিভাগ থেকে এ বছরের জুন মাসে এ বনভূমি ছেড়ে দেয়ার জন্য তাকে নোটিশ দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সাইফুল ইসলাম জানান, দেশ স্বাধীনের অনেক আগ থেকেই বন পাহারা দিতে তাদের পূর্বপুরুষদের এখানে আনা হয়েছিল। তখন তাদের মৌখিকভাবে তিন একর করে জমি দেয়ার কথা ছিল। তার ভাই ইলিয়াস হোসেনও গঙ্গামতি সংরক্ষিত বনের মধ্যে বাড়িঘর তৈরি করে বসবাস করছেন। তাকেও উচ্ছেদের নোটিশ দেয়া হয়েছে। এ বনের আরেক বাসিন্দা শাহজাহান হাওলাদারও বনের মধ্যে প্রায় এক একর জায়গা নিয়ে বাড়ি করেছেন। এ ছাড়াও প্রায় দেড় একর কৃষিজমি রয়েছে তার। তারা এই নোটিশের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবেন বলে জানান।
বনভূমি দখলে রাখার অভিযোগে দক্ষিণ মুসুল্লিয়াবাদ এলাকার নজরুল ইসলামকে ১৫ জুন নোটিশ দেয়া হয়েছে। তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরেন তারা বনভূমি পাহারা দিয়েছেন। এখন নোটিশ দেয়া হয়েছে, বন ছেড়ে চলে যেতে হবে। তবে এর আগে পুনর্বাসন করার দাবি জানান তিনি।
বন বিভাগের মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম বলেন, দখলদাররা জোর করে বনভূমি নষ্ট করে ঘরবাড়ি তুলে জমি দখল করেছে। বন কর্মীরা বাঁধা দেয়ায় তাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এ ব্যাপারে মহিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ রয়েছে। বনভূমি উদ্ধারে দখলদারদের তালিকা তৈরি করে পটুয়াখালী কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
বন বিভাগ থেকে জানানো হয়, কুয়াকাটায় সংরক্ষিত বনভূমি উদ্ধারের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। গত এক বছরে ১০০ একরেরও বেশি বনভূমি উদ্ধার করে সেখানে নতুন করে বনায়ন করা হয়েছে। এ ছাড়াও চলতি বছর লতাচাপলি মৌজার ৫৬ জন দখলদারকে নোটিশ দেয়া হয়েছে। ১০ জন অবৈধ দখলদারের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
কক্সবাজারে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু, স্বজনদের হাসপাতাল ঘেরাও বঙ্গোপসাগরে ১২ নাবিকসহ কার্গো জাহাজডুবি ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বাংলাদেশকে ‘নেট সিকিউরিটি প্রোভাইডার’ হিসেবে দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র রাজশাহীতে তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি রাজশাহীতে টানা তাপদাহ থেকে বাঁচতে বৃষ্টির জন্য কাঁদলেন মুসল্লিরা শরীয়তপুরে তৃষ্ণার্ত মানুষের মাঝে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ জামায়াতের এক শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী নয় : শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী নজিরবিহীন দুর্নীতির মহারাজার আত্মকথা ফতুল্লায় ১০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে নির্মাণকাজ বন্ধ, মারধরে আহত ২, মামলা পার্বত্যাঞ্চলে সেনাবাহিনী: সাম্প্রতিক ভাবনা গফরগাঁওয়ে ব্রহ্মপুত্র নদে টিকটক করতে গিয়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু

সকল