২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

গোয়ালন্দে একের পর এক গরু চুরিতে আতঙ্কে কৃষক

-

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা ও আশপাশের এলাকায় একের পর এক গরু চুরির ঘটনা ঘটছে। এতে করে খামারিরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। গত বুধবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে গোয়ালন্দ পৌরসভার নগর রায় এলাকার খামারি কর্ণধর বিশ্বাসের গোয়ালঘর থেকে ছয়টি গরু চুরি হয়ে যায়। এর মধ্যে চারটি গর্ভবতী গাভী ও দু’টি বকনা গরু। চোরেরা ছয়টি গরু গোয়ালঘর থেকে নিয়ে যাওয়ার সময় বাড়িসংলগ্ন মাঠের কাদা মাটিতে দু’টি গর্ভবতী গাভী আটকা পড়ায় চোররা সে দুটো ফেলে চলে যায়। বৃহস্পতিবার সকালে কাদায় আটকে থাকা গর্ভবতী গাভী দু’টি উদ্ধার করা হলেও চোরদের ধস্তাধস্তি ও প্রচণ্ড শীতে তারা দুর্বল হয়ে পড়েছে।
এ ব্যাপারে কর্ণধর জানান, ঘটনার দিন রাতে তিনি গরুগুলোকে খাবার খাইয়ে ঘরে তালাবন্দী করে রাখেন। সকালে গিয়ে দেখেন, গোয়ালঘরের দরজার তালা ভাঙ্গা এবং গোয়ালে কোনো গরু নেই। এর কিছুক্ষণ পরে মাঠের লোক মারফত খবর পেয়ে কাদায় আটকে থাকা গাভী দুটি আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন। চুরি হওয়া চারটি গরুর মূল্য প্রায় সাত লাখ টাকা হবে বলে তিনি জানান।


কয়েকদিন আগে খানখানাপুর দত্তপাড়া গ্রামের করিম শেখের গোয়ালঘর থেকে একরাতে সাতটি গরু চুরি হয়। এ ছাড়া একই সাথে ওই বাড়ি থেকে টাকা, স্বর্ণের চেইন ও দুটি মোবাইল ফোন চুরির ঘটনা ঘটে। এতে ওই পরিবারের ১৫ লাখ টাকার মালামাল চোরে নিয়ে যায় বলে তিনি জানান।
এ ছাড়া গত ২৫ ডিসেম্বর রাতে উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের বেড়িবাঁধ এলাকার নেকবর শেখ ও শহিদ মোল্লার পাঁচটি গরু চুরি হয়। একের পর এক গরু চুরির ঘটনায় এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
গোয়ালন্দ থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, কর্ণধর বিশ্বাসের বাড়িতে গরু চুরির ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে খোঁজখবর নিয়ে অনুসন্ধান করা হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement