মধ্যনগরে সীমান্তে করাতকলের অবৈধ ব্যবসা জমজমাট
- গিয়াস উদ্দিন রানা ধর্মপাশা ও মধ্যনগর (সুনামগঞ্জ)
- ০৮ ডিসেম্বর ২০২২, ০০:০৫
সুনামগঞ্জের নবগঠিত মধ্যনগর উপজেলার ভারত সীমান্তে চলছে অবৈধ করাতকলের রমরমা ব্যবসা। প্রতিদিন কাটা হচ্ছে শত শত ভারতীয় চোরাই গাছ। মধ্যনগর উপজেলাধীন সীমান্তবর্তী উত্তর বংশীকুন্ডা ইউনিয়নের মহেষখলা বাজার ও ভোলাগঞ্জ বাজারের মধ্যবর্তী স্থানের আন্তরপুর মৌজায় এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা অবৈধ করাতকল বসিয়ে কাঠ কেটে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বন ও পরিবেশ অধিদফতরের নীতিমালা অনুযায়ী সীমান্ত এলাকা থেকে কমপক্ষে পাঁচ কিলোমিটার দূরত্বে করাতকল বসানোর কথা থাকলেও তারা স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে সীমান্ত ঘেঁষে চারটি অবৈধ করাতকল বসিয়ে দেদারছে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা যায়, নবগঠিত মধ্যনগর উপজেলাধীন দক্ষিণ বংশীকুন্ডা ইউনিয়নের দাতিয়ার পাড়া গ্রামের মহেষখলা বাজার মৌজায় একই স্থানে দুটি অবৈধ করাতকল স্থাপন করা হয়েছে। একটির মালিক বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের দাতিয়ারপাড়া গ্রামের প্রভাবশালী আপছর উদ্দিন, অন্যটির মালিক বংশীকুন্ডা উত্তর ইউনিয়নের সাউতপাড়া গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য শিরু মিয়ার ছেলে কামরুল ইসলাম। অন্য দুটি করাতকল মহেষখলা বাজার ও ভোলাগঞ্জ বাজারের মধ্যস্থলে আন্তরপুর মৌজায় রাস্তার পাশে অবস্থিত। একটির মালিক মহেষখলা গ্রামের শামীম, অন্যটির মালিক দাতিয়ারপাড়া গ্রামের আপছর উদ্দিন।
অবৈধ করাতকল মালিক আফছর উদ্দিন ও শামীম বলেন, বন বিভাগের লোকজনের সাথে আমরা সমন্বয়ে করে যাচ্ছি। লাইসেন্স করার জন্য চেষ্টা করছি। অন্য করাতকল মালিক কামরুল ইসলামকে পাওয়া যায়নি। নাম প্রকাশে অনিছুক একাধিক গ্রামবাসী অভিযোগ করে বলেন, গ্রামের ভেতর করাতকলে কাঠ কাটার সময় কাঠের গুড়া বাতাসে উড়ে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। তারা স্থানীয় প্রভাব খাঁটিয়ে তাদের ইচ্ছামাফিক সীমান্ত এলাকায় মিল বাসয়ে অবৈধ কাঠ কাটা হচ্ছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা