মুলাদীতে মরু অঞ্চলের ত্বিন ফল চাষে সাফল্য
- ভূ্ইঁয়া কামাল মুলাদী (বরিশাল)
- ০৮ ডিসেম্বর ২০২২, ০০:০৫
কুরআনে বর্ণিত ও মরু অঞ্চলের ত্বিন ফল এখন বরিশালের মুলাদী উপজেলায় চাষ করে সফল হয়েছেন নাজিরপুর ইউনিয়নের রুসাল মৃধা ও কাঞ্চন মিয়া। ইতোমধ্যে তারা বাগান থেকে প্রায় ৩০০ কেজি ত্বিন ফল বিক্রি করেছেন।
জানা গেছে, উচ্চমানের ভেষজগুণসম্পন্ন এই ফলটি মুলাদীতে ছাদ কিংবা টবে শখের বশে চাষ করেছেন কেউ কেউ। এই প্রথম দুই তরুণ উদ্যোগ নিয়ে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করলেন।
উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের নাজিরপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর মৃধার ছেলে রুসাল মৃধা ঢাকায় চাকরি করতেন। করোনা শুরু হলে গ্রামে ফিরে ভায়রা কাঞ্চনকে নিয়ে ২০২১ সালের শুরুর দিকে বরই ও লেবুর বাগান শুরু করেন। বর্তমানে চার বিঘা জমির মধ্যে প্রায় তিন বিঘা জমিতে ত্বিন ফল চাষ করেছেন।
এ বিষয়ে রুসাল মৃধা বলেন, করোনায় বেকার হয়ে হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। ইউটিউবে ত্বিন ফলের চাষ দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে দিনাজপুর থেকে ৩০০ চারা কিনে ত্বিনের বাগান শুরু করি। তিনি আরো বলেন, বাগান থেকে যারা ফল কিনতে আসেন, তাদের কাছে প্রতি কেজি ১ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়। ঢাকায় প্রতি কেজি ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। বাগান থেকে এ পর্যন্ত তিন থেকে চার লাখ টাকা আয় হয়েছে।
কাঞ্চন মিয়া বলেন, এ বছর গাছ থেকে প্রায় তিন হাজার কলম চারা তৈরি করেছি। এসব চারার অনেক চাহিদা রয়েছে। প্রতিটি চারা ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকায় বিক্রি করছি। চারা ক্রেতাদের লাগানো ও পরিচর্যার কৌশল শিখিয়ে দেয়া হচ্ছে।
বাগান দেখতে আসা সিলমুন, সিরাত ও আয়শা সিদ্দিকা বলেন, কুরআনে বর্ণিত মরু অঞ্চলের এই ফল গ্রাম অঞ্চলে চাষ হচ্ছে তা দেখার জন্য এসেছি। তিন ফল দেখে ভালোই লেগেছে। আমরাও চাষ করব।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন, দুই তরুণ উদ্যোক্তা মুলাদীতে ত্বিন ফল চাষ করে সফল হয়েছেন। মাঠপর্যায়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা তাদের পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছেন।
উপজেলা উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা বাহাউদ্দীন ও উপ-সহকারী বশির উদ্দিন তালুকদার ত্বিন ফলের বাগান পরিদর্শন করে বলেন, এ বাগান শুরু হওয়া থেকেই চাষিকে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দিয়ে আসছি। অন্যান্য চাষিদের ত্বিন ফলের বাগান করার জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা