২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সুগন্ধি ধানের আবাদে ঝুঁকছেন রাজবাড়ীর কৃষকরা

রাজবাড়ীতে সুগন্ধি ধানের ক্ষেত। ইনসেটে পরিপুষ্ট ধানের শীষ : নয়া দিগন্ত -

রাজবাড়ীতে সুগন্ধি চালের ধানের আবাদ বেড়েছে দ্বিগুণ। ভালো দাম ও বাজারে চাহিদা বেশি থাকায় কৃষকরা দিন দিন সুগন্ধি ধানের আবাদে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
তবে কৃষকরা অভিযোগ করে বলেন, এ ধানের বীজ সঙ্কট ও কৃষি বিভাগের অসহযোগিতা তাদেরকে খুব ভোগাচ্ছে। তারপরও চাষিরা বেশি লাভের আশায় অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই এর আবাদ করছেন। এ দিকে সামান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগেই এই সুগন্ধি ধানের বেশ ক্ষতি হওয়ায় এর আবাদ বাড়াতে কৃষি বিভাগের অনীহা রয়েছে ।
কৃষিনির্ভর রাজবাড়ী জেলার সদর, বালিয়াকান্দি, পাংশা, গোয়ালন্দ ও কালুখালী এ পাঁচটি উপজেলায় ধান চাষ হয়ে থাকে সবচেয়ে বেশি। গত বছরের চেয়ে এবার দ্বিগুণ সুগন্ধি ধানের আবাদ হয়েছে এ জেলায়। এর মধ্যে কালোজিরা, বাদশাভোগ, চিনি আতপ, ব্রি-৩৪ ও ব্রি-৭৫ এই পাঁচ জাতের সুগন্ধি ধানের আবাদ বেশি হয়েছে। এ বছর লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে চার হাজার ৪১১ হেক্টরে সুগন্ধি ধানের আবাদ বেশি হয়েছে। গত বছর যেখানে আবাদ হয়েছিল পাঁচ হাজার ৭৪৪ হেক্টরে, চলতি বছর তা দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়ে আবাদ হয়েছে ১০ হাজার ১৭৫ হেক্টর জমিতে।


সাধারণত পোলাও, বিরিয়ানি, পায়েস, জর্দা ও বিভিন্ন ধরনের পিঠা জাতীয় মুখরোচক খাবার তৈরিতে সুগন্ধি এ চালের কোনো বিকল্প নেই।
সদর উপজেলার ব্রাম্মনদিয়া গ্রামের সুগন্ধি ধানচাষি আবুল কালাম ও ওয়াজ কুরুনি জানান, সাধারণত আমন ধানের চেয়ে সুগন্ধি ধান ও চালের বাজার দর দ্বিগুণেরও বেশি হওয়ায় এ ধানের আবাদ বেশি হচ্ছে।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বাহাউদ্দিন সেখ বলেন, রাজবাড়ীতে এ বছর কালোজিরা, বাদশাভোগ, চিনি আতব ও সুগন্ধি ধানের পাশাপাশি ব্রি-৩৪ ও ব্রি-৭৫ জাতের নতুন সুগন্ধি আমন ধানের ফলন বেশি ও বাজার দর বেশি হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তবে সিত্রাংয়ে ধানের কিছুটা ক্ষতি হলেও বাজার দর ভালো থাকায় কৃষকরা তা কাটিয়ে উঠতে পারবেন। ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সদর উপজেলায় ১৩ হাজারেরও বেশি কৃষকের মধ্যে রবি ফসলের বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

 


আরো সংবাদ



premium cement