২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বড়াইগ্রামে মুক্তিপণের দাবিতে জিম্মি বীমা কর্মী উদ্ধার

-

নাটোরের বড়াইগ্রামে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণের দাবিতে জিম্মি রাখা আলমগীর হোসেন (২৯) নামে এক যুবককে উদ্ধার করেছে ডিবি পুলিশ। এ সময় ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মহিলাসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে রোববার বিকেলে তাদেরকে জেলহাজতে পাঠানো হয়। এর আগে শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে উপজেলার জোয়াড়ি ইউনিয়নের নওপাড়া বালিয়া এলাকা থেকে ওই যুবককে উদ্ধার ও তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার হওয়া যুবক আলমগীর নাটোর সদর উপজেলার বারুহাট গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে। তিনি মেটলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে কর্মরত আছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- জেলার নলডাঙ্গা উপজেলার পশ্চিম মাধনগর গ্রামের মারুফ হোসেনের স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা খাতুন, বড়াইগ্রামের বালিয়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে নাফিউল ইসলাম, আহম্মেদপুর গ্রামের মুক্তার হোসেনের ছেলে জুয়েল রানা, নওপাড়া বালিয়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে আমিনুল ইসলাম ও আলিফ শেখের স্ত্রী সোহাগী বেগম।
গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার আলমগীর আহম্মেদপুর এলাকায় পেশাগত কাজে গেলে প্রিয়াঙ্কা বীমা করবে বলে বালিয়া গ্রামের একটি বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। পরে সেখানে আরো চার-পাঁচজনের সহায়তায় তাকে জিম্মি করে। পরে বেধড়ক মারধর করে তাকে দিয়েই স্বজনদের মোবাইলে কল দিয়ে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে দ্রুত বিকেশে দিতে বলে। অন্যথায় তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। বাধ্য হয়ে তাদের দেয়া বিকাশ নম্বরে ১০ হাজার টাকা বিকাশ করেন স্বজনরা। এরপর তারা গোয়েন্দা পুলিশকে জানালে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আহম্মেদপুর বাজারে বিকাশের দোকানটি শনাক্ত করে সেখান থেকে দু’জনকে আটক করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্য মতে নওপাড়া বালিয়া ব্রিজ এলাকার আলিফ শেখের বাড়ি থেকে অসুস্থ অবস্থায় আলমগীর হোসেনকে উদ্ধার এবং অপর আসামিদের গ্রেফতার করা হয়।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক আবু সাদাত জানান, এ ঘটনায় রোববার বড়াইগ্রাম থানায় মামলা দায়ের করে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া যুবক আলমগীর নাটোর সদর উপজেলার বারুহাট গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে।

 


আরো সংবাদ



premium cement