২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

জামালপুরে দু’টি সেতুর অভাবে ছোট্ট নৌকায় পারাপার

সেতুর অভাবে ইসলামপুরের দশানী নদী পারাপারের ভরসা এসব ছোট ছোট নৌকা : নয়া দিগন্ত -

স্বাধীনতার ৫১ বছরেও জামালপুরের ইসলামপুর-বকশীগঞ্জ সড়কের সেকেরচরে দশানী নদীর ওপর এবং গোয়ালেরচর-নিলক্ষীয়া সড়কের বোলাকীপাড়া নামক স্থানে দশআনী নদীর ওপর ব্রিজ নির্মিত হয়নি। এতে দুই উপজেলার হাজার হাজার মানুষ পারাপারের জন্য ছোট্ট নৌকাই একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ছোট্ট নৌকায় পারাপারে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধদের।
দুই উপজেলার মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে ইসলামপুরের ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর পাইলিং ঘাট নামক স্থানে ১০৪ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। কিন্তু দশআনী নদীর ওপর ভিন্ন দু’টি সড়কে কোনো সেতু নির্মাণ না করার ব্রহ্মপুত্র সেতুর সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সবাই। দু’টি সড়কের দশআনীতে প্রতিদিন ছোট ছোট খেয়া নৌকায় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার মানুষ পারাপার হচ্ছে।
বোলাকীপাড়া গ্রামের আব্দুল মমিন জানান, বকশীগঞ্জ-শ্রীবরদী ও ইসলামপুর উপজেলার যোগাযোগের ক্ষেত্রে দশআনী নদীর ওপর বোলাকীপাড়া সেতুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ইসলামপুর উপজেলা ও বকশীগঞ্জ উপজেলার সীমানা নিয়ে রশি টানাটানির কারণে স্বাধীনতার ৫২ বছরেও সেতুটি নির্মিত হয়নি। ফলে এ অঞ্চলের স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীসহ হাজার হাজার মানুষ যুগের পর যুগ ধরে খেয়া নৌকার ওপরই ভরসা করে আসছে। এতে মালামাল পারাপারে আরো বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
একই রকমের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ইসলামপুর-বকশীগঞ্জ সড়কের সেকেরচর নামক স্থানে দশআনী নদীর ওপর আরো একটি সেতু নির্মিত না হওয়ায়। একটি সেতুর অভাবে এখানেও দুই উপজেলার সড়ক যোগাযোগে চরম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় জনসাধারণের।
শেখেরচর গ্রামের আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, একটি সেতুর অভাবে প্রতিদিন হাজার মানুষ ও স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছোট্ট নৌকায় নদী পারাপার হয়। এতে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে যেকোনো সময়ে। এলাকাবাসী ও পথচারীরা জনগুরুত্বপূর্ণ সেতু দু’টি নির্মাণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।


আরো সংবাদ



premium cement