২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ব্যস্ত সময় কাটছে শায়েস্তাগঞ্জের লেপ-তোশকের কারিগরদের

বিক্রির জন্য সাজিয়ে রাখা লেপ-তোশক : নয়া দিগন্ত -

সারা দেশের মতো হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলাতেও শীত পড়তে শুরু করেছে। ভোরের আকাশে দেখা যাচ্ছে ঘন কুয়াশার চাদর। পাশাপাশি অনুভূত হচ্ছে শিশির ভেজা দূর্বাঘাসের শীতল স্পর্শ। তাই চাহিদা অনুযায়ী যে যার মতো করে লেপ কম্বল কিনছেন। পাশাপাশি এলাকার বস্তিবাসী ও ছিন্নমূলের মানুষেরা পুরনো ছেঁড়া কাঁথা রোদে শুকাচ্ছেন। কারিগররাও ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন লেপ-তোশক তৈরিতে। সেই সাথে বিক্রিও শুরু হয়েছে সমান তালে।
উপজেলার শায়েস্তাগঞ্জ পৌর এলাকার পুরানবাজারে গিয়ে দেখা যায়, কারিগররা লেপ-তোশক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। শায়েস্তাগঞ্জ পুরানবাজারের লেপ-তোশক ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিন বলেন, শীতের শুরুতেই আমরা ব্যস্ত সময় পার করি। হাতে অনেক অর্ডার থাকে। তিনি জানান, এ বছর শিমুল তুলার কেজি ৬০০ টাকা, লেপের তুলা ১০০ থেকে ১২০ টাকা, লেপের কাপড় প্রকার ভেদে ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকা প্রতি গজ আর একটি তৈরি তোশক ১২০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা ও জাজিম তিন হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাউদনগর বাজার এলাকার বেডিংয়ের মালিক আব্দুর রশিদ জানান, শিমুল তুলার কেজি ৬৫০ টাকা, লেপের তুলা ৮০ টাকা থেকে ১২০ টাকা, লাল শালু কাপড় ৩৫ টাকা থেকে ৬০ টাকা মিটারে বিক্রি হচ্ছে।
লেপ-তোশক তৈরির কারিগররা জানান, এলাকার সচ্ছল ব্যক্তিরা প্রায় প্রতি বছরই নতুন লেপ কেনেন। শীতের আগেই নতুন লেপ ও তোশকের অর্ডার দেন তারা। এবার অগ্রিম শীত অনুভূত হওয়ায় নতুন লেপ তৈরির পাশাপাশি পুরনো লেপ-তোষক মেরামতের কাজও করান অনেকে। তাই, হাতে প্রচুর কাজ তাদের। এসব কাজ করেই ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।
কারিগররা আরো জানান, নি¤œ আয়ের লোকজন শিমুল তুলা এড়িয়ে চলেন। কারণ শিমুল তুলা দিয়ে তৈরি করা লেপের খরচ অনেক বেশি। এর অর্ধেক দামে গার্মেন্টস তুলায় তৈরি লেপ পাওয়া যায়। সম্প্রতি লক্ষ করা যায়, বাজার-মহল্লার দোকান ছাড়াও দোকানিরা ফেরিওয়ালার মাধ্যমে গ্রামে, পাড়া-মহল্লায় লেপ-তোশক ফেরি করে বিক্রির ব্যবস্থা করছেন। এ বিষয়ে গ্রামবাসী জানান, তারা সময়ের অভাবে হাটে-বাজারে যেতে না পারলেও ফেরিওয়ালারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের লেপ-তোষক বিক্রিতে সাহায্য করছেন। ক্রেতারাও সহজে হাতের নাগালে পেয়ে যাচ্ছেন তাদের কাক্সিক্ষত লেপ-তোষক।


আরো সংবাদ



premium cement