১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

হোসেনপুরে মালচিং পদ্ধতিতে শসা চাষে চমক

মালচিং পদ্ধতির শসাক্ষেতে তরুণ উদ্যোক্তা আলমগীর : নয়া দিগন্ত -

মেধা ও শ্রমকে কাজে লাগিয়ে মালচিং পদ্ধতিতে হাইব্রিড শসা উৎপাদন করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন মাদরাসা ছাত্র আলমগীর। কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার রামপুর গ্রামের আলমগীর বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে শসার বাম্পার ফলন ফলিয়ে ইতোমধ্যে রামপুরকে পরিচিত করেছেন শসার গ্রাম হিসেবে।

সরেজমিন জানা যায়, রামপুর গ্রামের কৃষক সৈয়দুজ্জামানের ছেলে আলমগীর আলিম পাস করে চাকরির পেছনে না ঘুরে কৃষি কাজে মনোযোগী হন। নিজের টাকায় ও উপজেলা কৃষি অফিসের প্রযুক্তিগত সহায়তায় গত জুলাই মাসের শুরুতে বাড়ির পাশে ৫০ শতক পতিত জমিতে শসার আবাদ শুরু করেন। বর্ষা মৌসুমে ফ্যান্টাসি-২, থাইল্যান্ড-১ ও ৫৭৭ এবং আগাম ৩৫ জাতের শসার বীজ বপন করেন। মালচিং পদ্ধতিতে বেড তৈরি এবং রাসায়নিক ও জৈব সার একসাথে প্রয়োগ করে আবাদকৃত জমি পলিথিনের মালচিং সেড দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়। এতে অতি বৃষ্টিতেও মাটির গুণাগুণ নষ্ট হয় না। তা ছাড়া এ পদ্ধতিতে কৃষকের উৎপাদন খরচ অনেক কম হয়।

আবার ফ্যান্টাসি-২ জাতের শসা রোপণের ৩৫ দিনের মধ্যে ফুল আসে ও ৬৫ দিন পর্যন্ত ভালো ফলন পাওয়া যায়। অন্যান্য জাতের হাইব্রিড শসার জীবনকাল ৭৫-৮০ দিন। কম সময়ে ফলন বেশি।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আলিমুল শাহান জানান, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী গ্রামের এক ইঞ্চি জমিও যাতে পতিত না থাকে এবং সারা বছর সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যে রামপুর গ্রামের কৃষকদের বিভিন্ন জাতের সবজি চাষে উদ্ধুদ্ধ করায় তারা লাভবান হচ্ছেন। তাদের দেখাদেখি অন্যরাও শসা চাষে অনুপ্রাণিত হচ্ছেন।


আরো সংবাদ



premium cement