২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কেন্দ্রীয় আ’লীগ নেতার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ ফরিদপুর জেলা সভাপতির

-

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় এক প্রভাবশালী নেতার বিরুদ্ধে ফরিদপুরে সন্ত্রাস শুরুর গুরুতর অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগেরই ফরিদপুর জেলা সভাপতি শামীম হক। গত বুধবার রাতে শহরের আলিপুরের শেখ রাসেল স্কয়ারে ১৭ আগস্ট দেশব্যাপী বিএনপি-জামায়াতের সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কেন্দ্রীয় ওই নেতার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করেন। এ সময় ওই মঞ্চে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি ও এফবিসিআইএর সাবেক সভাপতি বিশিষ্ট শিল্পপতি এ কে আজাদ উপস্থিত ছিলেন।
‘আপনি কেন্দ্রীয় নেতা, আপনি সন্ত্রাস শুরু করেছেন। আপনি তো আমাকে চিনেন নাই এখনো। এইগুলা আমি ফরিদপুরে হতে দেবো না।’ ক্ষুব্ধকণ্ঠে এভাবেই ওই নেতার কঠিন সমালোচনা করেন শামীম হক। তিনি বলেন, আপনারা দূরে থেকে নিজের স্বার্থের জন্য যা করছেন, মনে করেছেন আমরা কিছু জানি না। আমরা সব জানি। সন্ত্রাস আপনারাই শুরু করেছেন। দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা তাকে সভাপতি বানিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, অন্য কেউ আমাদের প্রেসিডেন্ট-সেক্রেটারি বানায় নাই। শেখ হাসিনা বানিয়েছেন। তিনি যেদিন বলবেন, সেদিনই চলে যাবো।
ফরিদপুর পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মনিরুল হাসান মিঠুর সভাপতিত্বে বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে শামীম হক প্রধান অতিথি হিসেবে এ বক্তব্য রাখেন। তিনি ওই নেতার প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা লীগ, শ্রমিক লীগ সবাই জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রেখে একসাথে মিলেমিশে কাজ করছে। আমাদের কাজ করতে দিন। কিন্তু ষড়যন্ত্র করবেন না। এখানে আমার ছেলের বয়সী ছাত্রলীগ-যুবলীগ-শ্রমিক লীগ করে, তাদের মাঝে আপনারা দ্বিধাবিভক্তি করার চেষ্টা করছেন। এটি স্পষ্ট হয়েছে। আপনি জাতীয় নেতা, কেন্দ্রীয় নেতা যাই হন, একবার চিন্তা করেন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে আপনাদের কী হবে?


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুদ্ধি অভিযানের কারণে ফরিদপুর থেকে হেলমেট বাহিনী, হাতুড়ি বাহিনী, টেন্ডারবাজ বিতাড়িত হয়েছে উল্লেখ করে শামীম হক বলেন, ওই সময়ে দলের নেতাকর্মীদের উপরেও হামলা-মামলা হয়েছিল। তবে সবাই এ ঘটনার সাথে জড়িত ছিলেন না। অনেককে বাধ্য করা হয়েছিল। নইলে মামলা-হামলার শিকার হতে হয়েছে। ফরিদপুরে এফবিসিসিআইএর সভপতি এ কে আজাদের বহরেও তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা হয়েছে।
বিরোধী দল থাকাকালে ফরিদপুর শহরে আওয়ামী লীগ খুব শক্তিশালী ছিল উল্লেখ করে শামীম হক বলেন, একবার চিন্তা করেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হলে আমরা কেউ বাঁচব না। আমাদের ব্যবসা বাণিজ্য থাকবে না। তাই শেখ হাসিনা যেভাবে নির্দেশ দেন সেভাবেই দল করেন। যারা দলের ভাবমর্যাদা নষ্ট করবেন তাদের জবাবদিহি করতে হবে।
সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইশতিয়াক আরিফ, সাবেক সহসভাপতি এ কে আজাদ, যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম মেম্বার ফারুক হোসেন, পৌর মেয়র অমিতাভ বোস, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জিয়াউল হাসান মিঠু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক শওকত আলী জাহিদ প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ফরিদপুরে ছাত্রলীগ পরিচয়ধারী এক যুবককে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনার সাথে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের শীর্ষ কয়েকজন নেতাকর্মী জড়িত বলে অভিযোগ করা হয়। এরা এখন দলের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের সাথে যোগাযোগ রেখে চলছেন বলে জোর গুঞ্জন রয়েছে শহরে।


আরো সংবাদ



premium cement