২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

পূর্বাচলে তাওহিদের ভূমিদস্যুতায় অতিষ্ঠ অর্ধশতাধিক পরিবার

-

পেশায় ইঞ্জিন চালিত নৌকার মাঝি। বাবা ফেকুন মিয়ার পুরনো পেশা ধরে রেখেছিলেন ছেলে তাওহিদ তাহমিদ। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের দাউদপুরের কলিঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা। নিজ গ্রাম থেকে শীতলক্ষ্যা নদী দিয়ে কালীগঞ্জ বাজার ঘাট পর্যন্ত ট্রলার চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। বাড়ি ভিটেতে পাঁচ শতক জমি ছাড়া ছিল না তেমন কোনো সম্পদ। একসময় তাওহিদ ছিলেন দাউদপুর ইউনিয়ন ২ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের নেতা। তাই সহজে গড়ে তোলে নিজের কর্মী নামীয় নিজস্ব বাহিনী। সে সময়ে নানা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার চেষ্টা করে। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত ভুক্তভোগীরা মামলাসহ আইনি প্রতিবাদ করলে অধিক ক্ষমতার লোভে যোগ দেয় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী যুবলীগে। পদ বাগিয়েই শুরু হয় জোরপূর্বক অন্যের জমি দখল, স্থানীয় শিল্পকারখানা, ইটভাটা, শীতলক্ষ্যা নদী দিয়ে চলমান জাহাজ ও নৌকা থেকে চাঁদা আদায়সহ নানা ত্রাসের রাজত্ব। 
শুধু তাই নয়, বিভিন্ন আবাসনের নামে অন্যের জমিতে বালি ফেলায় জমি হারিয়েছেন অর্ধশতাধিক জমিমালিক। জবর দখল, চাঁদাবাজি ভূমিদস্যুতার মাধ্যমে তিন বছরে ওই যুবলীগ নেতা তাওহিদ তাহমিদ হয়ে ওঠে কোটিপতি। গড়ে তোলে শতাধিক কিশোর ও তরুণদের নিয়ে একটি শক্তিশালী গ্যাং। তাদের দিয়ে স্থানীয় নানা অপকর্ম ও দলীয় সভা সমাবেশে লোক দেখানোর মাধ্যমে নিজের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠিত করে। কিন্তু প্রকৃত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে বাড়ে ক্ষোভ ও হতাশা। তার বিরুদ্ধে রয়েছে রূপগঞ্জ, কালীগঞ্জ ও পলাশ থানায় ডজন মামলার রেকর্ড। অভিযোগ রয়েছে, দাউদপুর ইউনিয়ন যুবলীগ (২ নম্বর ওয়ার্ড) সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিমকে কুপিয়ে আহত করার। তিনি রূপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করলে তা আদালতে এখনো বিচারাধীন।  
স্থানীয় বাসিন্দা শাওন মিয়া বলেন, তাওহিদ ও তার বাহিনীর ভয়ে নিরীহ ভুক্তভোগীর  কেউ থানায় মামলা করতে সাহস পায় না। সে  ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে গত তিন বছরে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা। তার মালিকানায় কলিঙ্গায় রয়েছে দু’টি  চার  কোটি টাকার বাড়ি।  
এসব বিষয়ে অভিযুক্ত তাওহিদের মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কখনো ছাত্রদলে ছিলাম না। তবে যেসব মামলা বা অভিযোগ আসে তা আইনিভাবেই মোকাবেলা করি। কাজ করতে গেলে সমস্যা হবেই।  
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ওসি এএফএম সায়েদ বলেন, যে কেউ ত্রাস করলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। সংশ্লিষ্ট অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ থানায় রয়েছে। যা আইনি প্রক্রিয়াধীন।     


আরো সংবাদ



premium cement