২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ব্যস্ততম মহাসড়ক পার হয়ে স্কুলে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা

ঝুঁকি নিয়ে খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়ক পারাপার হচ্ছে ডুমুরিয়া সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা : নয়া দিগন্ত -

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত মহাসড়ক পার হচ্ছে পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী। চোখে পড়ার মতো এমন দৃশ্য খুলনার ডুমুরিয়া টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের। নিয়ন্ত্রণহীন সড়কটিতে বেপরোয়া গাড়ি চলাচল, উচ্চস্বরে হর্ন বাজানো, অদক্ষ চালক দ্বারা ফিটনেসবিহীন গাড়ি চালানোর ফলে প্রতিনিয়ত কোনো না কোনো স্থানে ঘটছে দুর্ঘটনা। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রতিষ্ঠানের সামনে গতিরোধক, সতর্কতামূলক চিহ্ন ও জেব্রা ক্রসিং স্থাপনের দাবিতে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগে লিখিত আবেদন করেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের পাশে গুটুদিয়া মৌজায় ডুমুরিয়া টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ অবস্থিত। কারিগরি শিক্ষার হার বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের আওতায় ১০০ উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল স্থাপন প্রকল্পের আওতায় এ প্রতিষ্ঠানটি স্থাপিত হয়। ২০২১ শিক্ষাবর্ষ থেকে ষষ্ঠ ও নবম শ্রেণীতে ভর্তির মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। এ বছর ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণীতে প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। আগামী ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন মডিউল ভিত্তিক শর্ট কোর্স চালু হবে। আর এটা হলে শিক্ষার্থীর আসন সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াবে ৯৬০ জনে।
এমনিতে খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কে দুর্ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। গত ১ জুন সকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অর্ধকিলোমিটার দূরে গুটুদিয়াস্থ একটি ফিড মিলের সামনে বাস-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই পাঁচজন নিহত হয়। সেই দৃশ্য দেখে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে।
শিক্ষার্থী সজীব মোলঙ্গী ও কাজল আক্তার তিথি জানায়, মূলত ক্লাস শুরু ও শেষ সময়ে স্কুল গেটের সামনে শিক্ষার্থীদের ভিড় হয়। দ্রুতগতিতে যেভাবে গাড়ি চলে তাতে আমরা ভয় পাই। আমাদের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হতে হয়।
কলেজের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী আব্দুস ছালাম মিয়া বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিশুরা মহাসড়ক পার হয়ে স্কুলে আসছে। জরুরি ভিত্তিতে সড়কে গতিরোধক, সতর্কতামূলক চিহ্ন ও জেব্রা ক্রসিং স্থাপনের দাবি জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগ খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী আনিসুজ্জামান মাসুদ বলেন, মহাসড়কে গতিরোধক দেয়ার কোনো নিয়ম নেই। তবে ডুমুরিয়া টেকনিক্যাল স্কুলের সামনের সড়কে সচেতনতামূলক সাইনবোর্ডসহ ধীর গতিতে গাড়ি চালানোর জন্য স্পিড হাম্প (জেব্রা ক্রসিং) দেয়া হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement