কলাপাড়া কাটা ভাড়ানী খালের সেতু এখন মৃত্যুকূপ
- এইচ এম হুমায়ুন কবির কলাপাড়া (পটুয়াখালী)
- ০৯ আগস্ট ২০২২, ০০:০০
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের কোডেক বাজার সংলগ্ন কাটা ভাড়ানী খালের উপর ৮০ ফুট লম্বা গার্ডার সেতুটি এখন মৃত্যুকূপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করছে শত শত ছাত্রছাত্রী, চাকরিজীবী, কৃষক ও বিভিন্ন পেশার মানুষ। ১৩২০ মেগাওয়াট পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও নির্মাণাধীন আরপিসিএল কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন হওয়ায় সেতুটি আরো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
প্রায় ২০ বছর আগে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) উদ্যোগে সেতুটি নির্মিত হয়। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নে কাটা ভাড়ানী খালের উপর ৮০ ফুট দীর্ঘ সেতুর পূর্ব মাথায় ও মাঝখানে বিভিন্ন জায়গায় পাথরের সুরকি উঠে গিয়ে লোহার রড বেরিয়ে গেছে। ওই স্থানে একটি বড় গাছ ফেলে রাখা হয়েছে এবং লাঠির মাথায় লাল নিশান দিয়ে সংকেত চিহ্ন দেয়া হয়েছে। যেকোনো সময় সেতুটি ভেঙে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। আরপিসিএল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে গাড়ি যাওয়া আসার জন্য ওই খালে একটি বাইপাস সড়ক করা হয়েছিল। সেতুটির পাশের বাইপাস সড়কটিও পুরোপুরি ভেঙে গেছে।
উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এ সেতু। কাটা ভাড়ানী খালের উপর লোহার অবকাঠামোর এ গার্ডার সেতুটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় মানুষের দুর্ভোগ ক্রমেই বাড়ছে। সোমবার ও বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক বাজার হওয়ায় গ্রামের কৃষকদের পণ্য নিয়ে এই সেতু দিয়ে আসতে হয় কালু মিয়ার বাজারে। সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছে শিশু ও বয়োবৃদ্ধ মানুষ। স্কুলগামী শত শত শিশু ঝুঁকি নিয়ে জরাজীর্ণ সেতু দিয়ে চলাচল করে। গার্ডার সেতু সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে আরপিসিএল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, কোডেক বাজার, আশ্রাফ একাডেমি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সোমবারিয়া কালুমিয়ার বাজার, ধানখালী ভূমি অফিস, ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স, ধানখালী ডিগ্রি কলেজ, ধানখালী টেকনিক্যাল কলেজ, চালতাবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো অসংখ্য প্রতিষ্ঠান।
ধানখালী গ্রামের বাসিন্দা সাদেকুর রহমার পাভেল মোল্লা বলেন, এ সেতু দিয়ে ১২টি প্রতিষ্ঠানের লোকজন ও সাধারণ মানুষ চলাচল করে। দু’টি সাপ্তাহিক বাজার রয়েছে এখানে। যেকোনো সময় সেতুটি ভেঙে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
ধানখালী ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন বলেন, আমাদেরকে ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে চলাচল করতে হয়। সে সময় ঠিকাদার নিম্নমানের কাজ করার কারণে অল্প সময়ের মধ্যে সেতুটি মৃত্যুকূপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীত অনুরোধ, বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আগেই সেতুটি মেরামতসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হোক।
এ ব্যাপারে এলজিইডি’র উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী আবুল হোসেন বলেন, ধানখালী ইউনিয়নে কোডেক বাজার খালের উপর গার্ডার সেতুটির টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা