মুরাদনগরে কানিয়া তরমুজ চাষে সফল কৃষক সামসু
- নাজিম উদ্দিন মুরাদনগর (কুমিল্লা)
- ০৮ আগস্ট ২০২২, ০০:০০
মালচিং পদ্ধতি ব্যবহার করে বারোমাসি ফল কানিয়া জাতের তরমুজ চাষে সফলতা পেয়েছেন কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার সামসুল হক নামে এক কৃষক। উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও সহায়তায় এক বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেন তিনি। এই তরমুজ চাষ করে সামসুল হক ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছেন এলাকায়। স্বাদে বেশ মিষ্টি কানিয়া তরমুজের ক্ষেত দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করছেন উৎসুক লোকজন।
মুরাদনগর উপজেলার ধামঘর ইউনিয়নের ভুবনঘর গ্রামের মৃত সোনা মিয়ার ছেলে সামসুল হক সামসু ভুবনঘর মডার্ন অ্যাগ্রাফার্মের স্বত্বাধিকারী।
সরেজমিন দেখা গেছে, তার ফার্মে দু’টি ভাগে ভাগ করে সারিবদ্ধভাবে তরমুজের চারা লাগনো আছে। পুরো জমিতে বাঁশের খুঁটির ওপরে জাল বিছিয়ে মাচা তৈরি করা হয়েছে। পুরো মাচা তরমুজ গাছে ছেয়ে গেছে। মাচায় সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে ঝুলে আছে বিভিন্ন রঙের ও সাইজের বাহারি তরমুজ। সামসুল হক জানান, বেশ কয়েক বছর ধরে ঝিঙ্গা, লাউ, মুলা, টমেটো, ব্রকলি, বাঁধা কপি ও ফুল কপিসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করছি আমি। গত বছর ব্রকলি, স্কোয়াশ, হলুদ তরমুজ, রকমেলন, মরুর দেশের ফল সাম্মাম ও বারমাসি তরমুজ চাষ করেও সফলতা পেয়েছি। তিন বছর ধরে কানিয়া, ম্যাজিক বয় ও হানিডিও জাতের তরমুজ চাষ করছি। প্রথম বছর লোকসান হলেও পরবর্তী বছর থেকে লাভ করছি। ইউটিউবে দেখে আমি তরমুজ চাষে আগ্রহী হই। এরপর বীজ সংগ্রহ করে এক বিঘা ধানি জমি তরমুজ চাষের জন্য প্রস্তুত ও তরমুজের বীজ বপন করি। তরমুজের চারা বড় হলে সেগুলো বাঁশ দিয়ে তৈরি মাচায় ছড়ানো হয়। প্রথমে ফুল আসে। পরে ক্রমান্বয়ে বেরিয়ে আসে সবুজ, হলুদ ও কালো রঙের তরমুজ। দুই মাসের মধ্যে তরমুজ পরিপক্ব হয়। এক বিঘা জমিতে তার খরচ হয় ৫০ হাজার টাকা। এখন পর্যন্ত এক বিঘা জমি থেকে তিনি তরমুজ বিক্রি করেছেন দেড় লাখ টাকার মতো।
মুরাদনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাইন উদ্দিন আহম্মেদ জানান, সামসুল হক এই উপজেলার একমাত্র কৃষক যিনি প্রথমে কানিয়া, ম্যাজিক বয় ও হানিডিও প্রজাতির তরমুজ চাষ করছেন। কানিয়া জাতের তরমুজ বারোমাসই চাষ করা যায়। প্রাকৃতিক উপায়ে পোকা দমন প্রক্রিয়াসহ তাকে সব ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ দেয়া হয়েছে। আশা করি সামসুকে দেখে অন্যরাও এই তরমুজ চাষে ঝুঁকবেন। এতে কম সময়ে তারা ভালো লাভ করতে পারবেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা