২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রাঙ্গাবালীতে ইউরিয়া সারসঙ্কট : কৃষিতে ধস নামার আশঙ্কা

-

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে ইউরিয়া সারের তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। চলতি আমন মৌসুমে পর্যাপ্ত সার না পেয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন উপকূলের কৃষকরা। এতে আমন আবাদ ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। খুচরা বিক্রেতাদের অভিযোগ, সারের দাম বাড়ার কথা শুনেই মূল ডিলাররা বাজারে সার ছাড়ছেন না। তারা সার গুদামজাত করছেন।
তবে কৃষি বিভাগ বলছে, তাদের তদরকি অব্যাহত রয়েছে। কেউ অসাধুপন্থা অবলম্বন করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অনাবৃষ্টি আর তাবদাহের কারণে আষাঢ়ে আমন ধানের বীজতলা করতে পারেননি রাঙ্গাবালীর কৃষকরা। শ্রাবণে বীজতলা করে এখন ক্ষেতে চারা রোপণ শুরু করছেন। এরই মধ্যে দেখা দিয়েছে ইউরিয়া সারের তীব্র সঙ্কট। এক দিকে অনাবৃষ্টি, অন্য দিকে সারের সঙ্কট। এ যেন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। কৃষকরা বীজতলা ও ধানের চারা রোপণ নিয়ে এখন দিশেহারা।
খুচরা বিক্রেতাদের অভিযোগ, ইউরিয়া সারের দাম ১৬ টাকা থেকে ২২ টাকা করার কথা শুনে মূল ডিলাররা বাজারে অল্প অল্প করে সার ছাড়ছেন। তাই সঙ্কট দেখা দিয়ে সারের।
উপজেলার চরমোন্তাজমোল্লা গ্রামের কৃষক শহিদুল হাওলাদার বলেন, এত দিন বৃষ্টি না হওয়ায় দুশ্চিন্তায় ছিলাম। আর এখন দুশ্চিন্তায় আছি সার নিয়ে। তিনি বলেন, কৃষি বিভাগের সঠিক মনিটরিং না থাকায় অসাধু ব্যবসায়ীরা সার মজুদ করে রেখেছেন। সেচ দিয়ে কোনো মতে বীজ লাগিয়েছি। এখন যদি সঠিক সময়ে সার না দিতে পারি তাহলে আমাদের লোকসান গুনতে হবে।
বড়বাইশদীয়া গাববুনিয়া গ্রামের কৃষক আনছার হাওলাদার বলেন, সঠিক সময়ে জমিতে সার প্রয়োগ করতে না পারলে ফলন ভালো হবে না। প্রতি বছর এই সময়টাতে সার নিয়ে টালবাহানা করেন ডিলাররা। এমনিতেই সব উপকরণের দাম বৃদ্ধি, তার ওপর সারের দাম বৃদ্ধি পেলে কৃষিতে লোকসান গুনতে হতে পারে। এভাবে চলতে থাকলে কৃষিকাজ ছেড়ে দিতে হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইকবাল আহাম্মেদ জানান, জুলাই মাসে সার ২২ টাকা দামে বিক্রি করার সুযোগ নেই। তাই গুদামজাত করেও লাভ নেই। এ ব্যাপারে কৃষি বিভাগের তদারকি অব্যাহত রয়েছে, কেউ অসাধুপন্থা অবলম্বন করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement