২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সরকারি কলেজের ছাদে বাঁশের ঠেকা দিয়ে চলছে পাঠদান

মেলান্দহ সরকারি কলেজের ঝুঁকিপূর্ণ ছাদে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে ঠেকনা দেয়া হয়েছে : নয়া দিগন্ত -

জামালপুরের মেলান্দহ সরকারি কলেজ ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় বাঁশ ও কাঠের ঠেকা দিয়ে সেই ভবনে চলছে শ্রেণীকক্ষের পাঠদান। কলেজের দু’টি ভবন এমন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে যে, যেকোনো মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা।
জানা গেছে, কলেজটি ১৯৭২ সালে চার একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি সরকারিকরণ হয় ১৯৮৭ সালে। আট বছর আগে ২০১৬ সালে কলেজের প্রশাসনিক ভবনসহ দুটি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় বিষয়টি শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়।
পরে সরেজমিনে পরিদর্শন করেন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের কর্মকর্তারা। তারা পরিদর্শন শেষে ভবনটির অফিস রুম ও কন্ট্রোল রুম ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেন এবং শর্তসাপেক্ষে অন্য রুমগুলোকে ব্যবহারের অনুমতি দেন। তবে পাঠদানে অন্য কোনো বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়েই ওই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই ক্লাস নেয়া হচ্ছে।
একাদশ শ্রেণীর ছাত্র ইসমাইল ও তারিফ রাব্বী জানান, কলেজের বিজ্ঞান ভবন ও প্রশাসনিক ভবন দুটিতে শ্যাওলা জমে রয়েছে। বিজ্ঞান ভবনের তৃতীয় ও দ্বিতীয় তলার বিভিন্ন জায়গায় পলেস্তারা খসে পড়ছে। জানালা দরজাগুলোও ভাঙ্গা। ভবনে প্রবেশ পথের প্রথম গেট ভেঙে পড়ে আছে। পলেস্তারা যেন খসে না পড়ে তার জন্য কাঠ ও বাঁশ দিয়ে ঠিকা দিয়ে রাখা হয়েছে।
তারা আরো বলেন, ভবন ভেঙে পড়ার ভয়ে কলেজে আসতে দিতে চান না মা-বাবা। কখন যে ভেঙে পড়ে এই আতঙ্ক তাদের মনে। সিঁড়ির ছাদ থেকেও প্লাস্টার খসে খসে পড়ছে।
দ্বাদশ শ্রেুণীর ছাত্রী উম্মে কুলসুম বলেন, কয়েক দিন আগে পরীক্ষার সময় হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হলে পরীক্ষা দিতে পারিনি। পরে স্যাররা অন্য রুমে আমাদের পরীক্ষা নিয়েছেন।
পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক রবিউল ইসলাম বলেন, আতঙ্কের মধ্যে ক্লাস করাতে হয়। না জানি কখন ছাদ ভেঙে পড়ে।
কলেজের অধ্যক্ষ হাসান তৌফিক মো: আলী নূর জানান, কলেজের অবকাঠামো অত্যন্ত নাজুক। ইতোমধ্যে প্রশাসনিক ভবনের একাংশ ও বিজ্ঞান ভবন মৌখিকভাবে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ক্লাস করার ভয়ে অনেকে কলেজে আসতে অনীহা প্রকাশ করছে।
জামালপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আনোয়ার হোসেন জানান, ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ২০০৯ সালে একটি ভবন ও ২০১৮ সালে আরেকটি ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। এদিকে ভবন বরাদ্দের জন্য মন্ত্রণালয়ে এমপি মহোদয়ের ডিও লেটারসহ আবেদন পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু করা হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement