২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মুরাদনগরে সাঁকো দিয়ে কালভার্ট পারাপার

মুরাদনগরের বাঙ্গরা বাজারে খালে সেতু না করে কালভার্ট নির্মাণ করায় সাঁকো দিয়ে পারাপার হচ্ছে গ্রামবাসী : নয়া দিগন্ত -

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন খামার গ্রামের বাঙ্গরা-বৃষ্ণপুর-যুগেরখিল সড়কের কাইউম সিদ্দিকীর বাড়িসংলগ্ন খালে ব্রিজ নির্মাণ না করে অপরিকল্পিতভাবে কালভার্ট নির্মাণ করায় জনদুর্ভোগ বেড়েছে। প্রায় ১০ বছর আগে কালভার্ট নির্মাণ করা হলেও সংযোগ সড়ক না হওয়ায় বাঁশের সাঁকোই একমাত্র ভরসা স্থানীয়দের। লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্ট (এলজিএসপি-২)-এর অধীনে এই কালভার্ট নির্মাণ করা হয়। বন্যার পানিতে নিচের অংশের মাটি ভেঙে যাওয়ায় হুমকির মধ্যে পড়েছে এটি।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ২৫-৩০ ফুট প্রস্থ খালের ওপর নির্মাণ করা হয়েছে চার ফুট প্রস্থের একটি কালভার্ট। এর নেই কোনো সংযোগ সড়ক।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে গ্রামবাসীরা জানান, ঠিকাদারের সাথে প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে এই কালভার্ট নির্মাণ করে সরকারি অর্থের লুটপাট করা হয়েছে বলে দাবি তাদের। এলাকাবাসীর দাবি অচিরেই এ দিকে নজর দেয়া হোক। খামার গ্রাম ও যুগেরখিল গ্রামের তিন হাজারেরও বেশি মানুষ এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে এবং যুগেরখিল গ্রামবাসী সংক্ষিপ্ত সময়ে বাঙ্গরা বাজার থানা সদর ও উপজেলা সদরে পৌঁছায়। খামারগ্রাম গ্রামের রহমান সিদ্দিকী বলেন, উভয় পাড়ের জমিতে উৎপাদিত ফসল আনা-নেয়ায় অনেক বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।
উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা আব্দুল হাই খান বলেন, এসব কালভার্ট আমরা নির্মাণ করি না। এগুলো এলজিআরডি করে থাকে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিআরডি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এলজিএসপি’র কাজের দায়িত্ব আমাদের না। আমরা শুধু এস্টিমেট তৈরি করে দিই, বাকি কাজ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা করে থাকেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিষেক দাস বলেন, খালের যে প্রস্থ, তাতে সেখানে কালভার্ট হওয়ার কথা নয়। সেতু হওয়ার কথা ছিল। আমাদের কাছে বিষয়টি লিখিতভাবে জানালে সেতু এবং রাস্তা নির্মাণের মধ্য দিয়ে কালভার্টটি ব্যবহারযোগ্য করব।

 


আরো সংবাদ



premium cement