বেতাগীর হোসনাবাদ সড়ক এখন মারণ ফাঁদ
- কামাল হোসেন খান বেতাগী (বরগুনা)
- ২৩ মে ২০২২, ০১:৫৫
বরগুনার বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের চার কিলোমিটার সড়ক ছোট বড় গর্তে এখন মারণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। পথচারী, রিকশা, মোটরবাইক, মাহিন্দ্রা, পণ্যবাহী ট্রাকসহ চলাচলে চরম দুর্ভোগে রয়েছে দুই উপজেলার ২০ হাজার মানুষ।
উপজেলা প্রকৌশলী অফিস থেকে জানা গেছে, উপজেলার বাসন্ডাপুলের হাট থেকে হোসনাবাদ ইউনিয়নের জলিসা বাজারের রাসেল স্কয়ার পর্যন্ত ৪.৮৪ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক পুনঃসংস্কারের জন্য ২০২০-২১ অর্থবছরে এলজিইডির অধীনে ২০২০ সালের জুন মাসে রাসেল স্কয়ার থেকে ২.৩২ কিলোমিটার ৪৬ লাখ ৬০ হাজার ১৩১ টাকা ব্যয় কাজের দায়িত্ব পায় বরগুনার ‘সোহেল ট্রেডাস’ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এর বাকি অংশ বাসন্ডা পুলের হাট পর্যন্ত ২.৫৭ কিলোমিটার ৫৫ লাখ ৯১ হাজার ৭৮৯ টাকা ব্যয় কাজ পায় বরগুনার ‘রাজ্জাক এন্টারপ্রাইজ’ নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সোহেল ট্রেডার্সের কাজ গত ৫ জানুয়ারি প্রথম প্যাকেজ এবং রাজ্জাক এন্টারপ্রাইজের গত ২ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় প্যাকেজের শেষ হয়।
সরেজমিন দেখা গেছে, এ সড়কে ছোট-বড় ২৩টি গর্ত ছাড়াও কোনো কোনো স্থানে সড়ক ভেঙে খালের সৃষ্টি হয়েছে। চলাচলের জন্য দেয়া হয়েছে বাঁশ ও সুপারি গাছের সাঁকো। বর্তমানে কোনো যানবাহন চলাচল করছে না। ব্যবসায়ীরা দ্বিগুণ অর্থ ব্যয় করে বিকল্প সড়ক ও নৌপথে পণ্য নিচ্ছেন। এ ছাড়া এ সড়ক দিয়ে মির্জাগঞ্জের জনসাধারণ আসা-যাওয়া করে।
হোসনাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান খান বলেন, সড়কটির কাজ ভালো হয়নি এটা নিশ্চিত। পরিষদে সড়ক সংস্কারে অর্থ বরাদ্দ নেই। আমার ব্যক্তিগত অর্থায়নে কয়েকটি গর্ত সংস্কার করেছি এবং বাকিগুলোও করা হবে।
প্রকৌশলী রইসুল ইসলাম বলেন, এ সড়কটি গ্রামীন উন্নয়নের ‘এ’ গ্রুপের সড়ক। সড়ক সংস্কাররোধে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
এ বিষয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুহৃদ সালেহীন বলেন, ঠিকাদার দরপত্রের প্রাক্কলন অনুযায়ী কাজ না করলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা