২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

চাঁদপুরের বড়স্টেশন মাছঘাটে ইলিশ নেই

-

ইলিশের বাড়ি চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা-মোহনায় ইলিশ নেই। ফলে চাঁদপুরের বড়স্টেশনের সর্ববৃহৎ মাছের আড়ত মাছঘাটে ব্যাবসায়ীদের হাঁকডাক ও তোড়জোড় নেই। বসে অলস সময় কাটাচ্ছেন ইলিশ ব্যবসায়ী, কর্মচারী ও মৎস্যশ্রমিকেরা।
সরেজমিন দেখা যায়, মাছঘাটের আড়তদাররা অলস বসে আছেন। মেঘনা নদী থেকে নৌকা ভরে ভরে ইলিশ আসবেÑ এই প্রত্যাশা তাদের। কিন্তু ইলিশ আসছে না। অল্প কিছু ইলিশ এলেও তেমন সরগম নেই এই মাছঘাটে। বলা যায় পুরো মাছঘাট ইলিশ শূন্য।
জাটকা রক্ষায় ইলিশের অভয়াশ্রম মৌসুম শেষ হয়েছে গত ৩০ মার্চ। দীর্ঘ দু’মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে ১ মে থেকে বহু আশা নিয়ে পদ্মা-মেঘনার ৭০ কিলোমিটার এলাকায় বিচরণ করছে চাঁদপুরের অর্ধলক্ষাধিক জেলে। কিন্তু কাক্সিক্ষত ইলিশ না পেয়ে হতাশ তারা। যে পরিমাণ মাছ পাচ্ছেন তা দিয়ে তাদের নৌকার জ্বালানি খরচও উঠছে না বলে জানান মাছ ধরা জেলে নৌকার মাঝিরা।
অবশ্য আগের বছরগুলোতে এ সময়টি চাঁদপুরের মাছঘাট ইলিশে সরগরম থাকত। এই বছর দক্ষিণাঞ্চলের ইলিশ না আসায় কর্মব্যস্ততায় ভাটা পড়েছে সংশ্লিষ্ট মৎস্য ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের।
চাঁদপুর সদরের আনন্দবাজার এলাকার জেলে খোরশেদ আলম, বাসার গাজীসহ বেশ কয়েকজন জেলে জানান, সরকার দু’মাস মাছ ধরায় নিষেজ্ঞা দিয়েছিল। আমরা তা পালন করেছি। কিন্তু সেই দু’মাস পর নদীতে নামলে তো ইলিশ পাওয়া যাবেÑ কিন্তু আমরা ইলিশ পাচ্ছি না। ছোটখাট কিছু ইলিশ যদিও পাই, তা দিয়ে কি পরিবার চলে? সরকার আমদের দিকে একটু সুনজরে তাকালে আমরা রক্ষা পাই।
বড়স্টেশন মাছঘাটের ব্যবসায়ী রুবেল গাজী জানান, দক্ষিণাঞ্চলের ইলিশ এখনো আসতে শুরু করেনি। পদ্মা-মেঘনার কিছু ইলিশ আমাদের এখানে আসছে। কিন্তু দাম বেশি বলে ক্রেতারাও কিনছেন না। বর্তমানে ৭-৮ শ’ গ্রামের প্রতি মণ ইলিশ ৪৭ হাজার টাকা, ১৪-১৫ শ’ গ্রামের প্রতি মণ ইলিশ ৮০ হাজার টাকা থেকে ৯০ হাজার টাকা ও ১৭-১৮ শ’ গ্রামের ইলিশের মণ এক লাখ টাকার উপরে বিক্রি হচ্ছে। ইলিশের আমদানি বাড়লে দাম আরো কমবে বলে জানান রুবেল গাজী।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য ও বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী শবেবরাত সরকার বলেন, ইলিশের পুরোপুরি মৌসুম এখানো শুরু হয়নি। তবুও দিন দিন ইলিশ কমে যাচ্ছে বলেই মনে হচ্ছে। কেন কমছে, তা নিয়ে গবেষণা করা দরকার। আশা করছি, জুন-জুলাই থেকে জেলেরা ইলিশ পেতে থাকবেন। তখন আমদানিও বাড়বে। বড় স্টেশনের পুরো মাছঘাট ইলিশে ভরে যাবে।


আরো সংবাদ



premium cement