২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

চিলমারীতে দুই দফতরের ফাঁদে পড়ে সেতু এখন মৃত্যুকূপ

চিলমারীর বালাবাড়িহাট গ্রাম উন্নয়ন কেন্দ্রসংলগ্ন সেতুটির অবস্থা : নয়া দিগন্ত -

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার বালাবাড়িহাটের গ্রাম উন্নয়ন কেন্দ্র সংলগ্ন সেতুটি এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াতের পথে নির্মিত ৩২ বছর আগের সেতুটির অবস্থা বেহাল। দু’পাশের মাটি সরে গেছে, রেলিং ভেঙে গেছে, সদ্য তৈরি গাইড ওয়াল ও পিচিং ব্লক দেবে গেছে এবং বেরিয়ে এসেছে রড।
সেতুটি মরণফাঁদে পরিণত হলেও মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেয়নি এলজিইডি বিভাগ। দীর্ঘ দিন পর যখন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন দফতরের তত্ত্বাবধানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে নতুন সেতু নির্মাণের জন্য মাটি পরীক্ষার কাজ চলছে এবং টেন্ডার হওয়ার অবস্থা তখন বাধা হয়ে দাঁড়ায় এলজিইডি।
এলজিইডি কর্তৃপক্ষ জানায়, ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি ভেঙে তারাই নতুন সেতু করবে। কিন্তু ওই বলা পর্যন্তই। এখনো কাজের কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। অন্য দিকে ত্রাণ ও দুর্যোগ দফতরকেও তারা কাজ করতে দিচ্ছে না। হাজারো মানুষের কষ্ট ও জীবনের ঝুঁকি যেন কারো নজরেই আসছে না। দুই দফতরের ফাঁদে অসহায় লক্ষাধিক মানুষ।
এলাকার শহিদুল, বিপ্লবসহ অনেকেই বলেন, আমরা তো ত্রাণ দফতর আর এলজিইডি বুঝি না, আমরা চাই নতুন সেতু। আমরা চাই এই মরণফাঁদ থেকে বাঁচতে। চলাচলের অযোগ্য সেতুটিতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। এলজিইডির লোকজন শুধু বলেই যাচ্ছে, কাজের কাজ তো কিছুই হচ্ছে না। অন্য দিকে ত্রাণ শাখা থেকে কাজটি করতে চাইলে সেটিও করতে দিচ্ছে না এলজিইডি।
অটোচালক আমজাদ বলেন, এই সেতু দিয়ে চলাচল করা খুব কঠিন। একটু এদিক-সেদিক হলেই খালের নিচে চলে যাবে গাড়ি। বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে এর দায়ভার কে নেবে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সিরাজুদৌলা বলেন, ওই স্থানে একটি নতুন সেতুর জন্য সব কার্যক্রম শেষে টেন্ডার আহব্বানের আগে এলজিইডি বাধা দেয়। যে কারণে টেন্ডার ডাকা সম্ভব হয়নি। এ দিকে উপজেলা প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের সড়কে আমরা সেতু করব, সেখানে ত্রাণ শাখার এত মাথাব্যথা কেন?
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মকর্তাকে সাথে নিয়ে সরেজমিন ঘুরে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement

সকল