২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বৃষ্টির পানিতে ভাসছে পাকা ধান বিপাকে কৃষকরা

ক্ষেত থেকে আধাপোকা ধান কেটে নিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা : নয়া দিগন্ত -

ঘূণিঝড় ‘অশনি’র প্রভাবে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিতে উপজেলার নিম্ন অঞ্চলের পাকা-আধাপাকা বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অতিমাত্রায় ভারী বৃষ্টির কারণে জমিতেই ভাসছে কৃষকের স্বপ্নের সোনালি ধান। আবার এই বৃষ্টির পানিতে শতশত হেক্টর জমির পাকাধান তলিয়ে পচে তা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অন্য দিকে ৯০০ টাকা দিন মজুরিতেও মিলছে না ধানকাটার শ্রমিক। ফলে চোখে-মুুখে হতাশা আর চরম দুশ্চিন্তায় পড়তে হচ্ছে কৃৃষকদের।
সরেজমিন ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কয়েড়া ধোপা চড়া বিল, বিল চাপড়া বিল, চর নিকলা বিল, খড়ক বিল ঘুরে দেখা যায়, হাঁটু পানিতে নেমে ধান কাটছে কৃষকরা আবার কেউ কাটাধান নৌকাতে উঁচু স্থানে তুলছে, কেউ ভাসমান অবস্থায় ছড়িয়ে থাকা একত্র করছে, আবার কেউ কেউ ধান মাড়াই করছে। এ ছাড়া দীর্ঘদিন ধান পানিতে ন্যুয়ে পড়ায় চারাও গজিয়েছে।
কৃৃষকরা জানান, এ বছর এক বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করতে সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা। এখন ধানকাটার মৌসুম বলে প্রতিজন শ্রমিকের মজুরি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা। স্বাভাবিক ছয়জন শ্রমিক এক বিঘা জমির ধান কাটতে পারলেও এখন ডাবল শ্রমিক লাগছে। এতে করে বর্তমানে বিঘা প্রতি খরচ হচ্ছে ৯ থেকে সাড়ে ১০ হাজার টাকা।
উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কয়েড়া গ্রামের আবুল কাশেম বলেন, পাকাধান পানির নিচে হাবুডুবু খাচ্ছে। ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায়ও শ্রমিক না পাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। কিন্তু অনেকটা বাধ্য হয়ে দ্রুত ধান কাটার জন্য সিরিয়াল দিয়ে শ্রমিক নিতে হচ্ছে।
ভূঞাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. হুমায়ূন কবীর বলেন, উপজেলায় ইতোমধ্যে ৪০ শতাংশ জমির ধান কাটা হয়েছে। বাকি ধান কাটার অপেক্ষায় ছিল। বৃষ্টি আর অশনির প্রভাবে কিছু ধান মাটিতে মিশে গেছে। তারপরও ধান কাটা অব্যাহত রয়েছে। আবহাওয়া ভালো হওয়ার পাশাপাশি কৃষকরা বৃষ্টি উপেক্ষা করে যদি ধান কাটতে পারে তাহলে আগামী ১০-১২ দিনের মধ্যে ধান কাটা শেষ হবে।


আরো সংবাদ



premium cement