২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

গাজর চাষে লাভবান ভেড়ামারার চাষিরা

-

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় অতি সম্প্রতি বেড়েছে গাজরের চাষ। নামমাত্র শ্রম, অল্প ব্যয় ও সময়ে এর আবাদ হওয়ায় কৃষকেরা ঝুঁকছেন গাজর চাষে। পাবনা জেলার সুমন নামে এক ব্যক্তি ভেড়ামারায় সাত বিঘা জমি বর্গা নিয়ে গাজর আবাদ করে চমক দেখানোয় তার দেখাদেখি অন্যরাও গাজর চাষ করে লাভবান হচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলায় সবজি জাতীয় ফসল গাজর চাষ হয়েছে ১০ হেক্টর জমিতে। উৎপাদন ভালো হওয়ায় আগামীতে এর চাষ আরো বাড়বে বলে ধারণা কৃষি কর্মকর্তাদের।
১৬ দাগ গ্রামের গাজর চাষি স্বপন বলেন, ‘আমি এই প্রথম তিন বিঘা জমিতে গাজর চাষ করেছি। ফলন বেশ ভালো হয়েছে। এবার বিঘায় ১৩০ থেকে ১৫০ মণ পর্যন্ত উৎপাদন হয়েছে। ক্ষেত থেকেই বিঘা ধরে সব গাজর ব্যাপারিরা এসে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। সুমন নামে একজন এবার গাজর চাষ করায় এ চাষে আগ্রহী হয়েছি। তিনি বলেন, লাভবান হওয়ায় আগামীতে আরো বেশি জমিতে গাজর চাষ করব। এ সিদ্ধান্ত এ এলাকার অনেক চাষিই নিয়েছেন।
ভেড়ামারায় এসে গাজর চাষকারী পাবনা জেলার আওতাপাড়া গ্রামের মাহফুজুর রহমান সুমন বলেন, যে জায়গাটা আমি লিজ নিয়েছি, সেটি সবজি চাষের জন্য আদর্শ জায়গা। আমাকে দেখে এ এলাকার অনেক চাষিই আগ্রহী হয়ে গাজর চাষ করছেন। তিনি বলেন, অনেক দিন ধরেই গাজরসহ সবজি চাষ করছি। গাজর এমন একটি ফসল যার চাহিদা সব সময়ই থাকে। অল্প সময় ও পরিশ্রমে অধিক লাভ হয়। বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তা থাকে না। সাঙ্গ জাতের গাজর চাষে বিঘায় (জমির খাজনাসহ) খরচ পড়েছে প্রায় ৩৫ হাজার টাকা। ফলন খুব ভালো হয়েছে। ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা বিঘা ধরে ব্যাপারির কাছে বিক্রি করে দিয়েছি। তবে বাজার এবার খারাপ না হলে আরো ভালো দাম পেতাম।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শায়খুল ইসলাম বলেন, গাজর এ উপজেলায় আগে খুব একটা চাষ হয়নি। তবে এ চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। কারণ গাজর চাষে খরচ কম ও ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকদের অধিক মুনাফা পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। এবার যারা গাজর চাষ করেছেন তারা অধিক লাভবান হয়েছেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement