২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আমতলীতে তরমুজ ক্ষেতে ভেজাল টিএসপি : দিশেহারা কৃষক

-

বরগুনার আমতলীতে তরমুজ ক্ষেতে ভেজাল টিএসপি সার প্রয়োগ করে শতাধিক কৃষক দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। তরমুজ ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাওয়ায় আশঙ্কা করছেন তারা। এ ভেজাল সার বিক্রির মূল হোতা বাজারটাকা বাঁধ এলাকার ইলিয়াস আহম্মেদ।
ইলিয়াস আহম্মেদ পটুয়াখালী থেকে ভেজাল টিএসটি সার আনে তাদের কাছে বিক্রি করেছে, এমন অভিযোগ কৃষকদের। গত ৮ দিন ধরে ওই সার ১২৫০ টাকা বস্তা হিসেবে কুকুয়া ও আঠারো গাছিয়া ইউনিয়নের তরমুজ চাষিরা কিনেছেন। সরল বিশ^াসে কৃষকরা ওই সার ক্রয় করে তরমুজ ক্ষেতে প্রয়োগ করছেন। কৃষকরা দেখতে পায় সারের মধ্যে মাটি মেশানো। চাপ দিলেই সার ভেঙে গুঁড়োগুঁড়ো হয়ে যায়। সারের মধ্যে থেকে ঝাঁঝালো গন্ধ আসছে না। এতে কৃষকদের সন্দেহ হয়। পরে কৃষকরা ভেজাল সারের কথা বিক্রেতা ইলিয়াসের কাছে বলেন। ইলিয়াস টাকা ফিরিয়ে দেয়ার আশ^াস দিয়ে কৃষকদের চুপ থাকতে বলেন। ইতোমধ্যে তিনি কয়েক শ’ বস্তা ভেজাল সার বিক্রি করেছেন বলে দাবি করেন কৃষকরা।
এ দিকে সার ভেজালের খবর কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে উদ্বেগ দেখা দেয় পুরো আমতলীর কৃষক সমাজে। তরমুজ নিয়ে সবাই শঙ্কায় পড়ে যায়।
চাউলা গ্রামের তরমুজ চাষি দুলাল হাওলাদার বলেন, ডিলার ইলিয়াসের দোকান থেকে চার বস্তা টিএসপি সার কিনে ক্ষেতে ছিটিয়ে দিয়েছি। ওই সার চাপ দিলে ভেঙে যায়। সারের মধ্য থেকে ঝাঁঝালো গন্ধ আসছে না। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি ওই সার ভেজাল। পরে ইলিয়াসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি টাকা ফিরিয়ে দেয়ার আশ^াস দিয়ে কাউকে বিষয়টি বলতে নিষেধ করেন।
সার বিক্রেতা ইলিয়াস আহম্মেদ ভেজাল সার বিক্রির কথা অস্বীকার করে বলেন, আগে পটুয়াখালী থেকে সার আনতাম এখন ভেজাল সার দেয়ার কথা জানতে পেরে আনা বন্ধ করে দিয়েছি।
আমতলী উপজেলা কৃষি অফিসার সিএম রেজাউল করিম বলেন, ঘটনা জেনেছি। ইলিয়াস আমাদের নির্ধারিত খুচরা ডিলার না। ইউএনও স্যারের সাথে আলোচনা করে তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম আব্দুল্লাহ বিন রশিদ বলেন, বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ খবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement