২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সুরক্ষা প্রকল্পে ধীরগতি উৎকণ্ঠায় উপকূলবাসী

অরক্ষিত চন্দনাইশের বিস্তীর্ণ এলাকা। ইনসেটে বোয়ালখালির অরক্ষিত উপকূলের একাংশ : নয়া দিগন্ত -

নদী ও বঙ্গোপসাগর বেষ্টিত সমগ্র চট্টগ্রামজুড়ে ভাঙন প্রতিরোধ প্রকল্পের কাজ চলছে। এতে উপকূলের অধিকাংশ এলাকা সুরক্ষিত হলেও অবশিষ্ট অরক্ষিত উপকূল নিয়ে উৎকণ্ঠা রয়েই গেছে। বিশেষ করে জেলার সন্দ্বীপ, বাঁশখালী, বোয়ালখালী, চন্দনাইশ, আনোয়ারা ও খাগড়াছড়ি জেলার বিস্তীর্ণ উপকূল এখানো অরক্ষিত রয়েছে গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (বাপাউবো) চলমান টেকসই কাজের পাশাপাশি অরক্ষিত উপকূল সুরক্ষায় চট্টগ্রামজুড়ে প্রায় ৩ হাজার ৭৯১ কোটি টাকা ব্যয়ে (সম্ভাব্য ব্যয়) টেকসই বেড়িবাঁধ নদী ড্রেজিং ও অবকাঠামোগত নির্মাণে বেশ কিছু প্রকল্প প্রণয়ন করা হয়, যা এখনো যাচাই-বাছাই পর্যায়েই রয়ে গেছে বলে যানা গেছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতির কারণে অরক্ষিত উপকূলবাসী রয়েছে উৎণ্ঠায়।
৩ হাজার ৭৯১ কোটি টাকা ব্যয়ে দক্ষিণ চট্টগ্রামের বোয়ালখালী চন্দনাইশ আনোয়ারা বাঁশখালী ও খাগড়াছড়ি জেলার উপকূল সুরক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ড গৃহীত নতুন প্রকল্প প্রোফাইল (ডিপিপি) এখন পরিকল্পনা কমিশনে পানি উন্নয়ন বোর্ডর সদর দফতরে, যা এখন যাচাই-বাছাই চলছে বলে জানা গেছে।
আনোয়ারার সংসদ সদস্য ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, পটিয়া সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, চন্দনাইশ সাতকানিয়া আংশিক এলাকার সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী, বাঁশখালীর সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ও সাতকানিয়া লোহাগাড়ার সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা মহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভীর প্রচেষ্টা ও চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে সাগর নদী ও খালের ভাঙন প্রতিরোধে ২০১৫ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে প্রণয়নকৃত প্রায় ১২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০৫টি প্যাকেজের চলমান কাজের সর্বশেষ সময় দেয়া হয়েছিল গত বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত। কিন্তু করোনাভাইরাস বিশ্বে মহামারী আকার ধারণ করেছে, থমকে গেছে মানুষের জীবনজীবিকা।
উল্লেখিত কাজের সাথে সামঞ্জস্য রেখে সমগ্র চট্টগ্রাম ও খাগড়াছড়িসহ জেলার সাগর ও নদীর ভাঙন ঠেকাতে নতুন নতুন প্রকল্প প্রণয়ন করে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
চলমান কাজের মধ্যে আনোয়ারা উপকূল থেকে নগরীর পতেঙ্গা পর্যন্ত সুরক্ষায় ৩২০ কোটি ২৯ লাখ ৭৭ হাজার টাকার ৩৮ প্যাকেজের কাজের সাথে সামঞ্জস্য রেখে প্রকল্প ব্যয় বর্ধিত করে ৫৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে আনোয়ারা পার্কি সমুদ্রসৈকত পুরো ও রায়পুর ইউনিয়ন সুরক্ষার কাজ চলছে।
একইভাবে সাতকানিয়া, লোহাগাড়া ও চন্দনাইশ উপজেলা সুরক্ষায় ও শঙ্খ নদী খননসহ ৩৩৩ কোটি ৩৪ লাখ ২১ হাজার টাকায় ১৫ প্যাকেজের কাজের সাথে সমাঞ্জস্য রেখে চন্দনাইশ ও সাতকানিয়ায় নদী ও খালের ভাঙন প্রতিরোধে ১৫৪ কোটি টাকায় সাড়ে ১৩ কিলোমিটার টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণকাজ। শঙ্খ নদী ডলু টংকাবতি ভাঙন প্রতিরোধে প্রায় ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নেয়া প্রকল্প যা পুনরায় সমীক্ষা করা হবে বলে জানা গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ডিভিশন-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদুজ্জামান খান জানান, বাঁশখালী আনোয়ারার অংশবিশেষ, খাগড়াছড়ি ও সন্দ্বীপ সুরক্ষায় ৩ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে গৃহীত প্রকল্পের মধ্যে ১১৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে সন্দ্বীপ ও ৬৪০ কোটি টাকায় খাগড়াছড়ি সুরক্ষায় গৃহীত নতুন ডিপিপি পানি উন্নয়ন বোর্ড হয়ে বর্তমানে প্লানিং কমিশনে রয়েছে। অপর দিকে ১৭৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে বাঁশখালী ও আনোয়ারা সুরক্ষায় গৃহীত ডিপিপি এখন পানি উন্নয়ন বোর্ডের সদর দফতরে প্রেরণ করা হয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে সুপার ডাইকের আদলে সন্দ্বীপসহ সুরক্ষিত হবে খাড়গাছড়িসহ চট্টগ্রামের অরক্ষিত উপকূল।


আরো সংবাদ



premium cement