তিন মাস পর অপহৃত তরুণীর লাশ উদ্ধার : অপহরণকারী ভগ্নিপতি পলাতক
- কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) সংবাদদাতা
- ২১ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০, আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০৮
ভগ্নিপতির অপহরণের শিকার শ্যালিকা ইতির (১৯) লাশ পাওয়া গেছে তিন মাস পর। বুধবার সন্ধ্যায় গোপনে লাশ দাফনের সময় পুলিশ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার পানিয়ালপুকুর গ্রাম থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। এ সময় পালিয়ে যায় ইতির ভগ্নিপতি সহীদ শাহ ও তার পরিবারের লোকজন। নিহত ইতি উপজেলার সদর ইউনিয়নের মুসা গ্রামের শিক্ষক সিরাজুল ইসলামের মেয়ে। সহীদ শাহ পানিয়ালপুকুর গ্রামের জাকারিয়া শাহর ছেলে।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শিক্ষক সিরাজুল ইসলামের দুই মেয়ের মধ্যে বড় মেয়ে স্মৃতির সাথে পারিবারিকভাবে সহীদ শাহর বিয়ে হয়। তারা জয়পুরহাট জেলা শহরে থাকত। তাদের একটি সাত বছরের ছেলে রয়েছে। বিয়ের কিছুদিন পর পারিবারিক কলহে তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটলে স্মৃতি সন্তানসহ বাবার বাড়ি ফিরে আসে। এ অবস্থায় গত ২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারি সহীদ শাহ তার একমাত্র শ্যালিকা ইতিকে অপহরণ করে। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষে থানায় মামলা করা হয়। পুলিশ সে সময় অভিযান চালিয়ে ইতিকে উদ্ধার ও অপহরণকারী আসামি ভগ্নিপতি সহীদ শাহকে (৩৬) গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠায়। ছয় মাস পর সহীদ শাহ জামিনে ছাড়া পায়। মামলাটি আদালতে বিচারাধীন থাকা অবস্থায় ২০২১ সালের ১৪ অক্টোবর সহীদ শাহ আবারো ইতিকে অপহরণ করে। এ ঘটনায় ইতির বাবা কিশোরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। কিন্তু পুলিশ তাদের উদ্ধার করতে পারেনি।
গত ১৮ জানুয়ারি শাহরিয়ার সাগর নামের এক যুবক মঙ্গলবার রাত ২টায় ফেসবুকে একটি মেয়ের লাশের ছবিসহ একটি স্ট্যাটাস দেয়। তাতে লেখা ছিল রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একটি মেয়ের লাশ ফেলে সহীদ শাহ নামের একজন লোক পালিয়ে গেছে। মেয়েটির বাড়ি নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায়। ফেসবুকে ছবি দেখে অপহৃতা ইতির বাবা নিজের মেয়েকে চিনতে পেরে রংপুর মেডিক্যালে ছুটে যান। কিন্তু তিনি সেখানে গিয়ে মেয়ের লাশ দেখতে না পেয়ে বাড়ি ফিরে আসেন। বুধবার তিনি জানতে পারেন তার ছোট মেয়ের লাশ বড় মেয়ের জামাই সহীদ শাহের বাড়িতে এনে গোপনে দাফন করা হচ্ছে। সেখানে তিনি পুলিশ নিয়ে গেলে বাড়ির লোকজন লাশ ফেলে পালিয়ে যায়। ইতির বাবার অভিযোগ, তার মেয়েকে নানাভাবে শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। তিনি এ ব্যাপারে একটি হত্যা মামলা দায়ের করবেন।
কিশোরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল আউয়াল জানান, আগের অপহরণ মামলার সূত্র ধরে তারা ইতির লাশ বুধবার সন্ধ্যায় উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নীলফামারীর জেলা মর্গে পাঠিয়েছেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা