২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

যশোরে ভরা মৌসুমেও সবজির দাম চড়া

-

যশোরের চৌগাছাসহ বিভিন্ন উপজেলায় শীতকালীন ভরা মৌসুমেও বাড়তি দামেই পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে সবজি। যার প্রভাব পড়ছে উপজেলার খুচরা বাজারগুলোতে। তাতে সংসারে মৌসুমি সবজির জোগান দিতে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ ক্রেতারা। তাদের দাবি, পাইকারি বাজার থেকে খুচরা বাজারে সবজির দামের ব্যবধান অনেক বেশি। তবে সবজি চাষি ও ব্যবসায়ীদের দাবি, ঘূর্ণিঝড় যাওয়াদের প্রভাবে টানাবর্ষণে উপজেলার বেশির ভাগ সবজি ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই এ বছর বাজারে সবজির উৎপাদন কম হওয়ায় দামও একটু চড়া।
চৌগাছা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, ঘূর্ণিঝড় যাওয়াদের প্রভাবে টানা বর্ষণে উপজেলার মরিচ, মুলা, ফুলকপি, পেঁয়াজ, আলুসহ এক হাজার ২২০ হেক্টর জমির সবজি ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে ২১৫ হেক্টর জমির সবজি স¤পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। আংশিক নষ্ট হয়েছে এক হাজার ৫ হেক্টর জমির আলু, মরিচ, পেঁয়াজসহ বিভিন্ন সবজি ক্ষেত। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন উপজেলার চার হাজার ৮০৫ জন কৃষক। ফলে বৃষ্টির পরই আশঙ্কা ছিল এবার সবজির দাম বেশি হতে পারে। সেই শঙ্কা সত্য হয়েছে।
শহরের সরকারি শাহাদাত পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠের পাইকারি বাজারের আড়ৎ ব্যবসায়ী আজিজুরর রহমান বলেন, বাজারে সবজির সরবরাহ তুলনামূলক কম। এ জন্য সবজির দাম অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশি। পাইকারি বাজারের আড়ৎ ব্যবসায়ী মুকুল হোসেন বলেন, পালং শাক ছয় থেকে আট টাকা, লাল শাক ১০ টাকা, শসা ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, ধনেপাতা ১৫ থেকে ২০ টাকা, সাদা শিম ৩০ টাকা, কাঁচামরিচ ২৫ থেকে ৩০ টাকা, বেগুন ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, পটোল ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ো ২০ থেকে ৩০ টাকা, মুলা ১০ থেকে ১৫ টাকা, পেঁপে ছয় থেকে আট টাকা, বাঁধাকপি আট থেকে ১০ টাকা, ফুলকপি ২৮ থেকে ৩৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে কাঁচকলা ১২ থেকে ১৬ টাকা হালি, টমেটো ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি, লাউ প্রতিটি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, চাপাকলা ১৮ থেকে ২০ হালিতে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। সেই সাথে মেটে আলু ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, মানকচু ২০ খেকে ২৫ টাকা, গোলআলু নতুন ১৬ থেকে ১৮ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে বেগুন বিক্রি করতে আসা উপজেলার পেটভরা গ্রামের জমির হোসেন বলেন, আমাদের অপেক্ষাকৃত উঁচু জমি হওয়ায় বর্ষায় তেমন ক্ষতি হয়নি। এখন প্রতি কেজি বেগুন ৪০-৪৫ টাকায় বিক্রি করছি। গত এক যুগেও এমন দাম পাইনি। পৌরসভার ইছাপুর গ্রামের আরমান আলী বলেন, ফুলকপি বিক্রি করতে এনেছিলাম। ৩০-৩৫ কেজি দরে বিক্রি করেছি। আমি ১২ কাঠা জমিতে দুইবার ধনিয়ার পাতা ও মুলার চাষ করেছিলাম। দুইবারই বৃষ্টিতে নষ্ট হয়েছে। দেড় বিঘা জমিতে মসুর চাষ করেছিলাম। অসময়ের টানা বৃষ্টিতে সেই মসুরও নষ্ট হয়েছে। বৃষ্টিতে আলুও ভালো হয়নি। খরচ উঠবে বলেও মনে হয় না।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সমিরণ বিশ্বাস বলেন, এখন সবজির ভরা মৌসুম হলেও ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের ঘূর্ণিঝড় যাওয়াদের প্রভাবে টানাবর্ষণে উপজেলার প্রায় এক হাজার ২০০ হেক্টরের বেশি জমির মৌসুমি সবজি নষ্ট হয়েছে। ফলে বাজারে সবজির আমদানি কম। তাই দামও বেড়েছে। কিছুুদিনের মধ্যে চাষিদের নতুন আবাদ করা মৌসুমি সবজি বাজারে আসা শুরু হলে দাম অনেক কমে যাবে বলে তিনি জানান।


আরো সংবাদ



premium cement
পাবনায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড, হিট স্ট্রোকে মৃত্যু ১ দাগনভুঞায় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটুক্তির ঘটনায় আ’লীগ নেতাকে শোকজ দখলে থাকা ৪ গ্রাম আজারবাইজানকে ফিরিয়ে দেবে আর্মেনিয়া স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে স্ত্রীর আত্মহত্যা! কুলাউড়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু যেসব এলাকায় রোববার ১২ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে পলাশ প্রেসক্লাবের সভাপতি মনা, সম্পাদক রনি তীব্র গরমে আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না বগুড়া পশ্চিম সাংগঠনিক জেলা জামায়াতের উদ্যোগে ভার্চুয়ালি রুকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত তেঁতুলিয়া নদীর তীরে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার নওগাঁ সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত

সকল