শেরপুরে খানাখন্দে ভরা শেরুয়া বটতলা সড়কে দুর্ভোগ
- আকরাম হোসাইন শেরপুর (বগুড়া)
- ১৮ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০
বগুড়া শেরপুর উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের শেরুয়াবটতলা বাজার থেকে ভবানীপুরের আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে তারাশ, সিংড়া, নাটোর, রাজশাহীর হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। এ সড়কের ব্র্যাক বটতলা পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার অংশের দুরবস্থা চরমে পৌঁছেছে। দুই পাশে অবৈধ স্থাপনা এবং বড় বড় গর্ত হয়ে জনদুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সড়কটি। ছোট-বড় দুর্ঘটনাও নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সূত্র জানায়, সড়কের দু’পাশে টিনের ঘরে ঠাঁই করে নিয়েছেন নদীভাঙনের শিকার অসহায় ৭৬টি পরিবার। সেখানেই চলে তাদের জীবন। পাকা সড়কের পাশ ঘেঁষে এভাবে বসবাস যেমন তাদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ তেমনি সড়ক দখল হয়ে পড়ায় দুর্ঘটনার আশঙ্কাও দিন দিন বাড়ছে। এখানে বসবাসরত সেলিম, ইসমত, কালাম জানান, আগে তাদের বাড়ি ছিল সারিয়াকান্দির বোহাইলে। যমুনার ভাঙনের পর ১০ বছর হলো এখানে আছেন। চাতালে কাজ করে সংসার চালান। যাওয়ার কোনো জায়গা না থাকায় রাস্তার ওপরই ঘর কইরা আছেন।
আরেক বসবাসকারী সকিনা বেগম জানান, সারিয়াকান্দি থেকে এখানে এসে একটি ঘর করেছেন সাত বছর হলো। রাস্তা পাকা হওয়ায় এখানেই বাস করতে হচ্ছে।
মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম জানান, শেরপুর-ভবানীপুর সড়কের ওপর ঘরবাড়ি তৈরি করে শতাধিক পরিবার বসবাস করছে- বিষয়টি তার জানা আছে। এদের বেশির ভাগই নদী ভাঙনকবলিত ভূমিহীন। তাদের পুনর্বাসন করা গেলে প্রশস্ত সড়কটি দখলমুক্ত করা সম্ভব হবে।
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর শেরপুর উপজেলার উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ বলেন, শেরপুর-ভবানীপুর আঞ্চলিক সড়কটি আমি শুনেছি প্রায় ১০০ ফুট প্রশস্ত এবং এর ১০ ফুট পাকাকরণ করা হয়েছে। তবে আসলে কত ফুট প্রশস্ত তার সঠিক মাপ পাওয়া যায়নি। এখানে অবৈধ স্থাপনা করে কারখানা, চাতাল ও বাড়িঘর নির্মিত হলেও আমাদের করণীয় কিছু নেই। আমরা সংশ্লিষ্টদের বিষয়টি জানিয়েছি।
শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মঈনুল ইসলাম জানান, অবৈধ দখলদারদের তালিকা করে সরকারি রাস্তা থেকে তাদের উচ্ছেদের জন্য আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। মুজিব বর্ষের ঘর দেয়ার জন্য ভূমিহীনদের তালিকা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা