চকরিয়ায় বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় গরুর হাট
- উপকূল (চকরিয়া) থেকে সংবাদদাতা
- ১৮ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০
বিদ্যালয়ের আঙ্গিনা ও মাঠ দু’টিই গরুর হাট। বৃহস্পতিবার ও রোববার সপ্তাহে দুই দিন বসে এই হাট। এই হাট বসিয়ে প্রতি মাসে লাখ টাকা আয় করে একটি প্রভাবশালী মহল। বিদ্যালয়টির আঙ্গিনা ও মাঠ দু’টিই গরুর দখলে চলে যাওয়ায় শিক্ষার পরিবেশ বিপন্ন। কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার উপকূলীয় ইউনিয়ন পশ্চিম বড় ভেওলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জমিলা বেগম উচ্চবিদ্যালয়ের আঙ্গিনা ও মাঠে বসে এই হাট। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পূর্ব বড় ভেওলা ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বাবলা বাজারটি খাস-কালেকশন দিয়ে দখলে নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
এলাকার বাসিন্দা ও বিগত ইউপি নির্বাচনের প্রভাবশালী চেয়ারম্যান প্রার্থী রবিউল এহছান অভিযোগ করে বলেন, স্কুল মাঠে পৃথিবীর কোথাও গরুর হাট আছে কি না জানি না। একমাত্র ইলিশিয়ায় জমিলা বেগম উচ্চবিদ্যালয় মাঠ ও আঙ্গিনায় আছে গরুর হাট। কিছু সরকারি কর্মকর্তার যোগসাজশে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বিনা টেন্ডারে নামমাত্র খাস-কালেকশন দিয়ে একটি প্রভাবশালী মহল কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। গরু বাজার বসার কারণে এ বিদ্যালয় থেকে পিএসসি, জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার হলও বাতিল হয়। অ্যাডভোকেট রবিউল আরো জানান, গরুহাট থেকে সরকার প্রতি বছর যেমন কোটি টাকা রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে তেমনি বিদ্যালয়ের মাঠে গরুর হাট বসায় শিক্ষার পরিবেশ বিপন্ন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহীদুল্লাহর কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছয় মাস ধরে বিদ্যালয়ের সভাপতির দায়িত্বে আছেন ইউএনও চকরিয়া। তিনি ভালো-মন্দ দেখছেন। এ বিষয়ে আমার বলার কিছু নেই।
এ বিষয়ে মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, বাজার ইজারা গ্রহীতা ও ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বাবলার কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি বিরক্ত বোধ করে তাড়াতাড়ি ফোনটি কেটে দেন।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেপি দেওয়ানের কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি সবেমাত্র যোগদান করেছি। বিষয়টি মাত্র শুনলাম। প্রকৃত বিষয় খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা করব।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা