কলাপাড়ায় বেহাল প্রাথমিক শিক্ষা
১০১ প্রধান শিক্ষক ও ১৬০ সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য- এইচ এম হুমায়ুন কবির কলাপাড়া (পটুয়াখালী)
- ০৭ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০
শিক্ষক স্বল্পতায় পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান কার্যত্রম দারুণভাবে ব্যাহত হচ্ছে। দীর্ঘ দিন থেকে এ সমস্যা চললেও তার সমাধান হচ্ছে না। এতে শিক্ষার্থীরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তেমনি বাড়তি চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন নিয়মিত শিক্ষকরা। শিক্ষক সঙ্কটে থাকা বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্যরাও এ নিয়ে বিরক্ত। বারবার উপজেলা শিক্ষা অফিসে ধরনা দিয়েও কোনো সুরাহা পাচ্ছেন না তারা।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ১৭৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ২৯ হাজার ৯৫২ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এর মধ্যে ১০১টি প্রধান শিক্ষক ও ১৬০টি সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় ওই সব প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক শৃঙ্খলাও ভেঙে পড়েছে। শিক্ষক স্বল্পতায় মানসম্মত ফলের দিক দিয়েও পিছিয়ে পড়ছে শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে ক্ষোভের শেষ নেই অভিভাবকদের। তারা বলেন, শিক্ষক স্বল্পতার কারণে নিয়মিত পাঠদান না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের এমন ফলাফল। দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপের মাধ্যমে এর সমাধান না নিলে আগামী দিনে উপজেলায় ভালো ফল আসবে না। ওই বিদ্যালয়গুলোতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে চলছে প্রশাসনিক ও পাঠদান কার্যক্রম। প্রতিদিনের পাঠদান কার্যক্রম চলছে জোড়াতালি দিয়ে। উপজেলায় কিছু মহিলা শিক্ষক মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকায় ও কিছু সহকারী শিক্ষক দীর্ঘ দিন ধরে প্রশিক্ষণে থাকায় চলমান সঙ্কট আরো প্রকট হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা জানায়, তাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিজেদের ইচ্ছে মতো ক্লাস নিয়ে থাকেন। কোনো কোনো বিদ্যালয়ে অফিসের কাজের পাশাপাশি এক শিক্ষককে দু’টি ক্লাসেও পাঠদান কার্যক্রম চালাতে হয়।
অনন্তপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল আলম বলেন, আমার বিদ্যালয়ে শিক্ষকের সাতটি পদের দু’টি পদ শূন্য। তার মধ্যে আছে পাঁচজন আবার এর ভেতরে একজন পিটিআইতে আছে। আমার বিদ্যালয়ে ২৫০ জন ছাত্রছাএী রয়েছে, তাদের ক্লাস নেয়া চারজন শিক্ষকের পক্ষে মোটেই সম্ভব নয়। জরুরি ভিত্তিতে শূন্য পদগুলোতে শিক্ষক দেয়ার জন্য জোর অনুরোধ জানাছি।
এ ব্যাপারে কলাপাড়া উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল বাশার বলেন, শিক্ষক সঙ্কটের বিষয়টি অবগত আছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। যেগুলোতে সহকারী শিক্ষক নেই সেগুলোতে শিগগির শূন্য পদে শিক্ষক দেয়া হবে। সামনে নিয়োগ পরীক্ষা আছে, সেটি হলে আমরা এক শ’র মতো সহকারী শিক্ষক পাবো। আর প্রধান শিক্ষক নিয়ে মামলা চলমান রয়েছে। তারা সহকারী শিক্ষক পদ থেকে প্রধান শিক্ষক দাবি করছেন। আদালতের নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদমর্যাদা দেয়া যাবে না বলে তিনি জানান।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা