১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মাচায় চাষ হচ্ছে বিদেশী জাতের রঙিন তরমুজ

ছাতকের বাগানের মাচায় ঝুলছে বিদেশী জাতের তরমুজ : নয়া দিগন্ত -

ছাতকে চাষ হচ্ছে গোল্ডেন ক্রাউন, ইয়োলো হানি, থাই সুইটস-সহ পাঁচ জাতের তরমুজ। ছাতক-গোবিন্দগঞ্জ সড়কের তাজপুর পয়েন্টের পাশে কিছু পতিত জমিতে বাঁশের মাচায় ঝুলছে এসব বাহারি রঙের তরমুজ। স্থানীয় কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় আধুনিক পদ্ধতিতে এখানে তরমুজের আবাদ করা হয়েছে। ফলনও বেশ ভালো হয়েছে। উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের তাজপুর পয়েন্টের পাশে এ বাগানটির অবস্থান। এলাকার পাঁচ তরুণ মিলে এই বাগান করেছেন। উন্নত জাতের এসব তরমুজের চাষাবাদে খরচ হয়েছে প্রায় তিন লাখ টাকা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সহযোগিতায় গত সেপ্টেম্বর মাসে জমিতে তরমুজের চারা রোপণ করা হয়েছে। চারা রোপণের পর জমিতে পানি সেচের জন্য ড্রেন করে দেয়া হয়। যখন গাছে ফুল থেকে তরমুজ ধরতে শুরু করে, ঠিক তখনই বাগানে বাঁশ দিয়ে গোল করে তিন ফুট উঁচু মাচা তৈরি করে দেয়া হয়। মাচার নিচে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি। তরমুজগুলোকে নেটের ব্যাগে ঢুকিয়ে মাচায় বেঁধে রাখা হয়েছে।
উদ্যোক্তা আব্দুর রহমান বলেন, তরমুজগাছের বয়স প্রায় তিন মাস। প্রতিদিন চারজন শ্রমিক এ বাগানে কাজ করেন। বর্তমানে তরমুজের ওজন দুই থেকে আড়াই কেজি। এ সপ্তায় তরমুজ বিক্রি শুরু করব। এ পর্যন্ত প্রায় তিন লাখ টাকা খরচ হয়েছে।
এ তরমুজ চাষের মূল উদ্যোক্তা ব্যবসায়ী আশরাফুর রহমান বলেন, আমরা পাঁচজন মিলে চুয়াডাঙ্গা জেলা থেকে বীজ সংগ্রহ করেছি। তিনি আরো বলেন, অন্য অঞ্চল থেকে কৃষিতে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। পরীক্ষামূলকভাবে তরমুজের এ বাগান তৈরিতে কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায় আমরা লাভবান হওয়ার বিষয়ে আশাবাদী।
কালারুকা ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মশিউর রহমান জানান, সাধারণ তরমুজের চেয়ে এর স্বাদ অনেক ভালো, মিষ্টিও বেশি। মালচিং পদ্ধতিতে এই ফলটি চাষ করা হয়েছে। সাধারণত ৬০ দিনেই এ ফসল বাজারজাত করা যায়। এটি ক্যালসিয়াম, আয়রন, ভিটামিনযুক্ত একটি ফল। শতকরা ৯৫ ভাগ জলীয় অংশ থাকায় এটি মানবদেহের পুষ্টি চাহিদা পূরণের পাশাপাশি শরীর ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তৌফিক হোসেন খান বলেন, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ভিটামিনসমৃদ্ধ শতভাগ নিরাপদ ফল তরমুজ। কৃষি বিভাগের নিয়মিত পরামর্শ আর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ফলন বেশি হয়েছে। এই তরমুজের আশানুরূপ ফলন দেখে আগামীতে নতুনরাও এর চাষে আগ্রহী হবে আশা করা যাচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement