২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পলিব্যাগে বেগুন চাষ

লালপুরে পলিব্যাগে চাষ করা বেগুন দেখাচ্ছেন কৃষক : নয়া দিগন্ত - ছবি : নয়া দিগন্ত

নতুন পদ্ধতিতে পলিব্যাগে বেগুন চাষ করে সফল হয়েছেন নাটোরের লালপুরের চাষি আজিজুল। তাকে অনুসরণ করে এলাকায় এখন নতুন পদ্ধতিতে চাষাবাদে অধিকহারে বেগুন উৎপাদন করছেন চাষিরা।

চাষি আজিজুল শেখ বলেন, একজন কৃষক আমাকে বেগুন চাষ পোকামুক্ত করতে পলিব্যাগ ব্যবহারের পরামর্শ দেন। কিন্তু তার কথা ভুলে গিয়েছিলাম। ১৫ কাঠা জমি বর্গা নিয়ে এ বছর কচু ও পালংশাকের সাথে বেগুন চাষ শুরু করি। তিনি বলেন, বেগুন চাষের শুরুতে এক দিন ২০ কেজি বেগুন পেলাম, যেখানে প্রায় ১৮ কেজিই ছিল পোকা। মনটা খুুব খারাপ হলো। তখন হঠাৎ বেগুন ক্ষেতে পলিব্যাগ ব্যবহারের পরামর্শের কথা মনে পড়ে গেল। পলিব্যাগ ব্যবহারের পর আবার বেগুন সংগ্রহ করলাম। বেগুনের রঙ ও উজ্জ্বলতা দেখে আমি অবাক। এবার ১৭ কেজি বেগুন সংগ্রহ করে দু-একটি ছাড়া সব বেগুন পোকামুক্ত পেয়েছি। নতুন এ পদ্ধতিতে বেগুনের উৎপাদন বেড়েছে কয়েকগুণ। পরিচ্ছন্ন রঙ ও আকার ভালো হওয়ায় বাজারে এ বেগুনের চাহিদা অনেক বেশি।

গত এক মাসে প্রায় ২০ হাজার টাকার বেগুন বিক্রি করেছেন বলে জানালেন আজিজুল। প্রচলিত বেগুন চাষে বেগুনের মধ্যে ও ডগাছিদ্রকারী পোকা দমনে সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার কীটনাশক দিতে হতো। পলিব্যাগ ব্যবহারের পর বেগুনে পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে এখন আর বালাইনাশক ব্যবহারের প্রয়োজন হচ্ছে না। গাছ লাগনোর দুই মাসেই বেগুন বাজারজাত করা যাচ্ছে। এ পদ্ধতি ব্যবহারে দূষণমুক্ত পরিবেশে বেগুন চাষ করে অধিক ফলন পাওয়া যাচ্ছে।

পদ্মার চরাঞ্চলেও এখন এ পদ্ধতিতে বেগুনের চাষ হচ্ছে। চরজাজিরা গ্রামের নতু আলী বলেন, এ পদ্ধতি ব্যবহার করে ফলন বাড়ায় আমরা অনেক বেশি লাভবান হচ্ছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, কীটনাশক প্রয়োগের কারণে কৃষকদের শারীরিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতির পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়। পলিব্যাগ ব্যবহারে কোনো ক্ষতি নেই। আমরা বাজারে বিষমুক্ত সবজি চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছি। পলিব্যাগ ব্যবহারে মানসম্পন্ন বেগুন পাওয়া যায়। উপজেলায় এ বছর প্রায় ৮০০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছে বলে জানান তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement