২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

নানা সঙ্কটে কুয়াকাটা হাসপাতাল

-

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা হাসপাতালে চিকিৎসক ও জনবল সঙ্কটে চিকিৎসাসেবায় বেহাল অবস্থা চলছে। চিকিৎসকরা প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে বদলি হয়ে যাওয়ায় লাগাতার চিকিৎসক সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। বঞ্চিত হচ্ছে রোগীরা। কুয়াকাটায় আসা পর্যটকরাও স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসে এখানে।
উদ্বোধন হওয়ার পর থেকেই জনবল সঙ্কটে পড়ে হাসপাতালটি। উপকূলীয় চার ইউনিয়নের দুই লক্ষাধিক মানুষ চিকিৎসা নেয় এখানে। ডাক্তাররা তদবির করে জেলা সদর হাসপাতাল ও উপজেলা হাসপাতালে ডেপুটেশনে চাকরি করছেন।
হাসপাতালের শূন্য পদগুলো হলো- জুনিয়র কনসালট্যান্ট (সার্জারি/মেডিসিন/গাইনি অ্যান্ড অবস/অ্যানেসথেসিয়া-চারজন, আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার একজন, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) একজন, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট (ফার্মাসিস্ট) একজন, প্রধান সহকারী কাম-হিসাব রক্ষক একজন, অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর একজন, ওয়ার্ড বয় একজন, এমএলএসএস একজন, ঝাড়–দার একজন, কুক একজন থাকার কথা থাকলেও পদগুলো শূন্য।
স্থানীয়দের অভিযোগ, রোগীরা জরুরি প্রয়োজনে হাসপাতালের ইনডোর ও আউটডোর চিকিৎসা সেবা পায় না। ২২ কিলোমিটার দূরে গিয়ে কলাপাড়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়। প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র পাওয়া যাচ্ছে না। এতে সবচেয়ে বিপাকে পড়ছে গর্ভবতী মায়েরা। গর্ভাবস্থার পুরো সময়টাতেই চিকিৎসা চিকিসাসেবায় বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে তারা। নিয়মিত চিকিৎসা না পেয়ে সন্তান জন্মদানের সময় নানা জটিলতায় মারা যায় অনেক মা ও নবজাতক। বর্তমানে প্রায় প্রতিনিয়ত সাগরে জেলেরা জলদস্যুদের গুলিতে আহত হচ্ছে এবং বিভিন্ন সময় সংঘর্ষ ঘটে থাকে। সেখানে জেলেরা চিকিৎসাসেবা না পেয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় কলাপাড়া সদরে আসতে হচ্ছে।
আলট্রাসনোগ্রাম, এক্সরে, রক্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা বাইরে থেকে করতে হয়। ফলে খরচ বেড়ে যায় যা অনেক গরিব রোগীর জন্য কষ্টকর।
এ দিকে ফহাসপাতালে বৈদ্যুতিক পাখা থাকলেও তা ঘুরছে না। নেই পর্যাপ্ত আলোক বাতি। বিদ্যুৎ চলে গেলে আর থাকে না কোনো আলোর ব্যবস্থা। বিদ্যুৎ চলে গেলে অন্ধকারই থাকে অনেক কক্ষ।
খাজুরা গ্রামের কুলসুম বেগম বলেন, কুয়াকাটা হাসপাতালে ডাক্তার না থাকায় চিকিৎসা পাওয়া যাচ্ছে না।
কুয়াকাটা হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক মাহমুদ হাসান অপু বলেন, আমার একার পক্ষে গড়ে প্রতি দিন ৫০-৬০ জন রোগীকে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হয়। এখানে আমি একাই এমবিবিএস হিসেবে আছি। এখানে এমবিবিএস ছয়টি পদের মধ্যে পাঁচটি পদ শূন্য রয়েছে।
কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিন্মময় হাওলাদার বলেন, কুয়াকাটা একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সে হিসেবে ২৪ ঘণ্টা একজন চিকিৎসকের পক্ষে দিনরাত চিকিৎসা দেয়া মোটেই সম্ভব না। মাঝে মাঝে কলাপাড়া হাসপাতাল থেকে চিকিৎসক পাঠিয়ে চিকিৎসসেবা প্রদান করা হয়। এতে কলাপাড়া হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা বিঘ্ন ঘটে। আমি প্রতি মাসে চিকিৎসক সঙ্কটের বিষয়টি উল্লেখ করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে বলে আসছি; কিন্তু কোনো ফল পাওয়া যাচ্ছে না।


আরো সংবাদ



premium cement
জাতিসঙ্ঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থাকে আবার অর্থায়ন শুরু করবে জাপান শেখ হাসিনার অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে : ওবায়দুল কাদের রাশিয়া সমুদ্র তীরবর্তী রিসোর্টে ১৬.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে সিরিয়ায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৩৬ সেনা সদস্য দৌলতদিয়া ঘাটে পন্টুন থেকে নদীতে পড়ে যুবকের মৃত্যু অ্যানেসথেসিয়ার পুরনো ওষুধ বাতিল করে কেন নতুনের জন্য বিজ্ঞপ্তি! বাইডেনের মেয়াদে রুশ-মার্কিন সম্পর্কের উন্নতির কোনো আশা নেই : রুশ রাষ্ট্রদূত ডিএমপির অভিযানে গ্রেফতার ৪০ নিউইয়র্কে মঙ্গোলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ফ্ল্যাট জব্দ করবে যুক্তরাষ্ট্র! টাঙ্গাইলে লরি-কাভার্ডভ্যান সংঘর্ষে নিহত ১ জিম্বাবুয়ে সিরিজে অনিশ্চিত সৌম্য

সকল