শরণখোলায় প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পের টাকা ফেরত যাচ্ছে !
- আনোয়ার হোসেন শরণখোলা (বাগেরহাট)
- ০২ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০
শরণখোলায় প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকারভিত্তিক উন্নয়ন প্রকল্পের বরাদ্দকৃত আড়াই কোটি টাকা একটি কুচক্রী মহলের ষড়যন্ত্রের কারণে ফেরত যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। ফলে উপজেলা সদরে শরণখোলা আইডিয়াল ইনস্টিটিউট নামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির চার তলা ভবন নির্মাণের কাজ এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলীয় এ জনপদের শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য ২০১২ সালে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম মামুনুজ্জামান শরণখোলা আইডিয়াল ইনস্টিটিউট নামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলেন। এর পর থেকে প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মান উন্নয়নসহ জেলা-উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন বিষয় শ্রেষ্ঠত্বের গৌরব অর্জন করে চলছে। এ কারণে প্রধানমন্ত্রী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠনটির নামে ৯০ শতক খাস জমি দীর্ঘমেয়াদি বন্দোবস্ত দেন। উপজেলা প্রশাসন পরিচালিত এ প্রতিষ্ঠনটিতে বর্তমানে প্লে গ্রুপ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত পাঁচ শাতধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের স্থান সঙ্কুলন না হওয়ায় বাগেরহাট শিক্ষা প্রকৌশল দফতর থেকে প্রথমে একতলা ভবন নির্মাণের জন্য ৮৫ লাখ টাকার দরপত্র সম্পন্ন করে ২০২০ সালের ৯ মার্চ মেসার্স বেতাগা ট্রেডার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেয়া হয়। ২৪ অক্টোবর ভবন নির্মাণ শুরু হয়। এরপর পুনরায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার জন্য দেড় কোটি টাকা বরাদ্দ আসে। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ভবন নির্মাণের জায়গার একটি অংশ অবৈধভাবে তিনটি পরিবার দখল নিয়ে থাকায় কাজ শুরু করতে পারছে না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি।
উপজেলা প্রশাসন থেকে ওই পরিবার তিনটিকে অন্যত্র মুজিববর্ষের ঘর দিতে চাইলেও তারা একটি কুচক্রী মহলের ষড়যন্ত্রে প্রতিষ্ঠানটির জমি ছাড়তে রাজি নয়। ফলে দেড় বছরের মধ্যেও ঠিকাদার কাজ শুরু করতে না পাড়ায় বরাদ্দকৃত টাকা ফেরৎ যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাতুনে জান্নাত বলেন, ভূমিহীন ওই তিনটি পরিবারকে এক বছর ধরে উপজেলা প্রশাসন থেকে মুজিববর্ষের ঘর দেয়ার কথা বলা হলেও তারা যায়নি। তবে স্থানীয় সংসদ সদস্যের আর্থিক সহযোগিতায় উপজেলা চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন শান্ত ও রায়েন্দা ইউপি চেয়ারম্যান আজমল হোসেন মুক্তার সহযোগিতায় পুনরায় তাদের পুনর্বাসনের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা