জোরারগঞ্জ-টেকেরহাট সড়কে নিত্য দুর্ভোগ

চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্র্ণ ও ব্যস্ততম জোরারগঞ্জ-টেকেরহাট সড়ক। প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে শত শত গাড়ি। কিন্তু টেকসইভাবে সংস্কার না করার কারণে বেশি দিন কার্পেটিং টিকছে না। সৃষ্টি হচ্ছে ছোট-বড় গর্তের। চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এই সড়ক দিয়ে চলাচল করা হাজার হাজার মানুষকে।
সরেজমিন দেখা যায়, ১৩ কিলোমিটার সড়কটির প্রায় পাঁচ-সাত কিলোমিটার অংশ ভেঙেচুরে একাকার হয়ে গেছে। ছোট-বড় পিকআপ, বাস-ট্রাক, অ্যাম্বুলেন্স, কার-মাইক্রো বাস, স্কুলবাস ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা বহু কষ্টে চলাচল করছে। কোনো যানবাহনই স্বাভাবিকভাবে চলতে পারছে না। সড়কের বিভিন্ন স্থানে পানি জমে থাকায় মনে হবে একটু আগেই বৃষ্টি হয়েছে। সড়কে জমে থাকা পানি নিষ্কাশনের সুবিধা না থাকায় সড়কের বেশি ক্ষতি হচ্ছে। ১০ মিনিটের রাস্তা অতিক্রম করতে লেগে যাচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট বা তার চেয়েও বেশি।
ওচমানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুল হক বলেন, সড়কের কারণে এলাকা থেকে অন্য জায়গায় যেতে মন চায় না, আবার গেলে এলাকায় আসতে মন চায় না। সড়ক সংস্কারের বিষয়ে উপজেলার সমন্বয় সভায় কয়েকবার আলোচনা করেছি।
মিরসরাই উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মোহাম্মদ কামরুজ্জমান বলেন, জোরারগঞ্জ-টেকেরহাট সড়ক পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন। বারবার এই সড়ক নষ্ট হয় মাছবোঝাই গাড়ি চলাচলের কারণে। মাছের ড্রামে কেমিক্যাল যুক্ত যে পানি ব্যবহার করা হয়, তা রাস্তায় পড়ে দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। এ ছাড়া এই সড়ক যেভাবে টেকসইভাবে সংস্কার করা প্রয়োজন সেভাবে হচ্ছে না। সড়কটির গুরুত্ব বুঝে আলাদা ডিভাইজে সংস্কার করা প্রয়োজন।
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগ চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, সড়কটি সংস্কারের জন্য দরপত্র বিজ্ঞপ্তির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। শিগগিরই সড়কটির সংস্কার কাজ করা হবে। এ ছাড়া ওই সড়কে পিকআপ ও ট্রাক চলাচলের বিকল্প ব্যবস্থা না করলে সংস্কার করলেও বেশি দিন টেকসই হবে না।