২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নাগেশ্বরীতে ভেসে যাওয়া সেতু পুনর্নির্মাণ হয়নি ৪ বছরেও

-

নাগেশ্বরীতে চার বছরেও পুনর্নির্মাণ হয়নি বন্যায় ভেফু পড়া পাটেশ্বরী সেতু। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় শিক্ষার্থী ও সাত গ্রামের মানুষকে।
বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাঈনুল হক প্রধান জানান, কেয়ার বাংলাদেশ ১৯৯৩ সালে ৬ লাখ ১০ হাজার টাকা ব্যয়ে মেসার্স আদম আলী ট্রেডার্সের মাধ্যেমে বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের পাটেশ্বরী বিলে পাটেশ্বরী-ধনীটারী সড়কে ৩০ ফুট দৈর্ঘ্যরে পাটেশ্বরী সেতু নির্মাণ করে। নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আগে ওই বছরেই বন্যার পানির তীব্র ¯্রােতে সেতুটি প্রথম দফায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভেসে যায় অনেক নির্মাণসামগ্রী। বন্যার পরে সেতুর বাকি কাজ শেষ হয়। এরপর বেশ কয়েক বছর বড় কোনো বন্যা না হওয়ায় সেই সেতুতে ২০১৫ সাল পর্যন্ত নির্বিঘেœ চলাচল করে পাশের পাটেশ্বরী, পানাতিটারী, মওয়ামারি, ধনিটারী, অন্তাইপাড় ও বড়মানী আদর্শ বাজার এলাকার মানুষ। এ পথেই তারা বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ ও নাগেশ্বরী সদরে যাতায়াত করে। সেতুটি দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করত স্থানীয় শিক্ষার্থীরা। কিন্তু ২০১৬ সালে বন্যায় পানির তীব্র স্রোতে দ্বিতীয় দফা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে হেলে পড়ে সেতুটি। সেই ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতেই ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছিল সাধারণ মানুষ। সর্বশেষ ২০১৭ সালের বন্যায় সেতুটি সম্পূর্ণ ভেঙে ভেসে যায়। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে মানুষ। এরপর চার বছরেও তা পুনর্নির্মাণ হয়নি।
স্থনীয় ইউপি মেম্বার আব্দুস সোবাহান বলেন, সারা বছরই পানি থাকে পাটেশ্বরী বিলে। বর্ষায় এর উচ্চতা বৃদ্ধি পায়। তখন স্থানীয়রা কলাগাছ অথবা সারি সারি ড্রাম সাজিয়ে ভেলা তৈরি করেন। শীত মৌসুমে পানি কমে। তখন ভেলার পরিবর্তে হাঁটু পানি মারিয়ে বিল পাড়ি দেয় মানুষ।
ধনিটারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শরিফুর রহমান জানান, এ অবস্থা চলছে গত চার বছর ধরে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একটু অসাবধানতায় প্রায় প্রতিদিনই বই খাতা ভিজিয়ে বাড়ি ফিরে। এ কারণে কমে গছে শিক্ষার্থী উপস্থিতির সংখ্যা। সমস্যায় পড়তে হয় ওই বিদ্যালয়ের কয়েকজন সহকারী শিক্ষককেও। ঝুঁকি বিবেচনায় সন্ধ্যার আগে হাট-বাজার থেকে বাড়ি ফেরেন স্থানীয়রা।
বামনডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন ব্যাপারী বলেন, এলাকাবাসীর পারাপারের দুর্ভোগ নিরসনে এখানে নতুন একটি সেতু নির্মাণ করা জরুরি।
উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) আসিফ ইকবাল রাজিব জানান, পাটেশ্বরী সেতু পুনর্নির্মাণে বৃহত্তর রংপুর জেলা অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে একটি প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। একনেকে প্রকল্পটি পাস হলে কাজ শুরু হবে।


আরো সংবাদ



premium cement