১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মানিকগঞ্জে শীতকালীন আগাম সবজি

মানিকগঞ্জে শীতকালীন আগাম সবজি -

শীতের আগাম সবজি চাষে ব্যস্ত মানিকগঞ্জের কৃষকরা। রাজধানীর বাজারে সবজির চাহিদার একটি বড় অংশ সরবরাহ হয় মানিকগঞ্জ থেকে। জেলায় সারা বছরই কোনো না কোনো সবজি চাষ হয়। সবজির জেলা হিসেবে খ্যাত মানিকগঞ্জ। শশা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, করলা, ধনিয়া, টমেটো, লাউসহ সব ধরনের শীতকালীন সবজি আবাদ হয় এখানে।
জেলার সাটুরিয়া উপজেলায় সবচেয়ে বেশি সবজিচাষ হয়। সিংগাইরে এ বছর ব্যাপক কাঁচা পেঁপে আবাদ হয়েছে। জেলার শিবালয়, হরিরামপুর ও ঘিওর উপজেলা পেঁয়াজ ও মরিচ আবাদের জন্য বিখ্যাত। মানিকগঞ্জ সদর ও দৌলতপুর উপজেলার চরাঞ্চলেও প্রচুর সবজি আবাদ হয়।
সরেজমিনে সাটুরিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে প্রায় জমিতে কোনো কোনো সবজি চাষাবাদ করা হচ্ছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চাষিরা ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষাবাদে। পুরুষ শ্রমিকদের সাথে সবজি চাষে নারী শ্রমিকেরাও দিন চুক্তিতে মাঠে কাজ করছেন। শীতকালীন আগাম সবজিগুলো আগামী দেড় থেকে দুই সপ্তাহ পর থেকে বাজারে সরবরাহের প্রস্তুতি চলছে।
সাটুরিয়া উপজেলার ফুকুরহাটি এলাকার শরীফ মিয়া বলেন, ৬৫ শতাংশ জমিতে আগাম ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষ করেছি। ১৫-২০ দিনের মধ্যে এগুলো বাজারে নেয়া যাবে। বীজ, সার, কীটনাশক ও শ্রমিক খরচ মিলিয়ে ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বাজারদর ভালো থাকলে লাখ টাকা লাভের আশা করছি। রাইল্যা এলাকার হেদায়েত উল্লাহ নামের এক চাষি বলেন, সাত বিঘা জমিতে ফুলকপি, দুই বিঘা জমিতে শশা ও দুই বিঘা জমিতে ধনিয়া চাষ করছি। সার ও কীটনাশকের দাম বেশি হওয়ায় লাভের পরিমাণ বছর বছর কমে যাচ্ছে।
শিবালয় উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের সাগা পেঁয়াজ চাষি আলী আকবর বলেন, টিএসপি সারের অভাব দেখা দিয়েছে। আমি চারটি বাজার ঘুরেও টিএসপি সার পাইনি। এ অবস্থা চলতে থাকলে আবাদ ব্যাহত হবে। তিনি বলেন, কীটনাশক ও সারসহ কিছুরই দাম বেশি।
মানিকগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক শাহজাহন আলী বিশ্বাস বলেন, এ বছর জেলায় আট হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ১৭০০ হেক্টর জমিতে আগাম শীতকালীন সবজি চাষাবাদ করা হয়েছে। পরিবেশ অনুকূলে থাকায় এ বছর সবজির ভালো ফলন হবে আশা করছি।


আরো সংবাদ



premium cement