২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

শসার বাম্পার ফলনে খুশি নাঙ্গলকোটের কৃষক

-

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের বিভিন্ন এলাকার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে আবাদ হয়েছে শসা। ক্ষেতগুলোতে মাচার নিচে সারি-সারি শসা, যা তিন থেকে চার দিন পর পর কৃষকদের কাছ থেকে পাইকাররা কিনে পাশের বিভিন্ন জেলায় পাঠাচ্ছেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রায় দেড় মাস ধরে কৃষকরা ক্ষেত থেকে শসা তুলে বিক্রি করছেন। আরো ১৫ দিন পর্যন্ত শসা বিক্রির আশা করছেন তারা। চলতি বছর শসার বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকরা সময়টা উপভোগ করছেন।
উপজেলার মৌকরা ইউনিয়নের খাটোছৌ, গোমকোট, পৌরসভার বাতুপাড়া দৈয়ারা, বাতুপাড়া, কোদালিয়া ও ধাতিশ্বর গ্রামের কৃষকরা শসা চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। তারা বলছেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর শসার দাম কম হলেও খরচ বাদ দিয়ে তারা লাভের মুখ দেখছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, উপজেলায় ৫৪ হেক্টর জমিতে শসার আবাদ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮১০ মেট্রিক টন।
তবে কৃষকদের অভিযোগ, উপজেলা কৃষি বিভাগের কোনো সহযোগিতাই তারা পানানি। এ ছাড়া শসাক্ষেতে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের মাধ্যমে তারা কীটনাশক ও ভিটামিন প্রয়োগ করেছেন।
খাটোছৌ গ্রামের মাহবুবুল কবিরাজ আট বছর ধরে শসার আবাদ করছেন। তিনি চলতি বছর ৭২ শতক জমিতে শসার আবাদ করেন। তিনি বলেন, আমার ৭২ শতক জমিতে শসা চাষে প্রায় দেড় লাখ টাকা খরচ হয়েছে। প্রতি মণ শসা ৯০০ টাকা থেকে ১২ শ’ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেছি। এ পর্যন্ত প্রায় ২০০ মণ শসা বিক্রি করেছি। প্রায় তিন লাখ টাকা পেয়েছি। এতে খরচ বাদ দিয়ে প্রায় দেড় লাখ টাকা লাভ হয়েছে। নোয়াখালী, ফেনী ও লাকসাম থেকে পাইকাররা এসে শসা নিয়ে যাচ্ছেন। মাহবুবুল জানান, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস থেকে শসা চাষে কোনো সহযোগিতা পাননি। বিভিন্ন কীটনাশক কোম্পানির প্রতিনিধিদের সহযোগিতা নিয়ে শসার আবাদ করেছেন।
এ দিকে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দান এবং শসা চাষাবাদের সময় নিয়মিত পরামর্শ দেয়া হয় বলে দাবি করেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement