২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কবরস্থানের ওপর গুচ্ছগ্রাম!

-

দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে তিন শত বছরের পুরনো কবরস্থানের ওপরে সরকারি ত্রাণের বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার আলোকডিহি ইউনিয়নের আলোকডিহি গ্রামের আলীপাড়ায় কবরস্থানের জায়গায় উপজেলা চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলাম তারিকের নির্দেশে সরকারিভাবে ত্রাণের ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। কবরস্থানটি ওই ইউনিয়নের জেএল নম্বর ১০, মৌজা নম্বর ২৪, খতিয়ান নম্বর ৮৯৫, দাগ নম্বর ২২৬ এবং জমির পরিমাণ ১.২৯ একর। ১৯৫০ সালের গুটিবসন্ত ও কলেরা মহামারীতে আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তিদের ওই কবরস্থানে কবরস্থ করা হয়। আশি-ঊর্ধ্ব পাঁচজন ব্যক্তি জানান, জমিটি গত তিন শত বছর ধরে কবরস্থান হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। জমিটির অবশিষ্ট জমিতে স্থানীয় মকবুল হোসেন, ফজলুল হক, সিরাজুল ইসলামসহ অনেকে বাঁশ লাগিয়ে ভোগদখল করে আসছিল। এক পর্যায়ে গত ২০১৫ সালের ২০ মে তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলাম তারিক কবরস্থানের জমি দখল করে বাঁশ আবাদকারীদের ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে নিয়ে জানান যে, কবরস্থানটি সংস্কার করা হবে।
সরকারিভাবে কবরস্থানের নামে কয়েকটি প্রকল্প হলেও রেকর্ডভুক্ত কবরস্থানটিতে অদ্যাবধি কোনো প্রাচীর দেয়া হয়নি। গত ২১ সেপ্টেম্বর বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলাম তারিক সেখানে গুচ্ছগ্রামের ত্রাণের ঘর নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আয়েশা সিদ্দীকা বলেন, কবরস্থানের কথা আগে কেউ বলেনি। এখন জেনেছি। কবরস্থানের জায়গা হলে ওই স্থানে ঘর করা হবে না। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইরতিজা হাসান বলেন, প্রয়োজনীয় তদন্ত করে উপর্যুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে চিরিরবন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান ও তৎকালীন আলোকডিহি ইউপি চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলাম তারিক বলেন, জমিটি অনেকেই ভোগ দখল করে খেতো। ১০-১১ বছর আগে আমি বলেছিলাম জায়গা ছেড়ে দেন, ওই স্থানে অর্ধেক কবরস্থান ও অর্ধেক গুচ্ছগ্রাম হবে। সবাই মেনে নিয়েছিল। এখন যে জায়গায় ঘর নির্মাণ হচ্ছে, সে জায়গাটিতে কখনোই কবর ছিল না।


আরো সংবাদ



premium cement