প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর ‘পানিবন্দী’
- পাবনা সংবাদদাতা
- ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:৩১
মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্পে ভূমিহীনদের ঘর উপহার দেয় সরকার। সেই ঘর নির্মাণ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে উঠেছে নানা অনিয়ম আর অব্যবস্থাপনার অভিযোগ। উপহারের ঘর নিয়ে বিপাকে পড়েছেন অনেক এলাকার উপকারভোগী মানুষ।
পাবনার ফরিদপুর উপজেলার গোপালনগর চকপাড়া গ্রাম। এ গ্রামে একটি মাঠের মধ্যে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে এখানকার সবগুলো ঘর পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। কোথাও হাঁটু পানি, কোথাও কোমর পর্যন্ত পানিতে ডুবে আছে ঘর। পানির মধ্যে বসবাস করতে না পারায় উপহারের ঘর ছেড়ে অন্যত্র বসবাস করছেন ভূমিহীন মানুষরা।
সুবিধাভোগী ঘরের মালিক ইয়াছিন আলী ও ইমরান হোসেন বলেন, বৃষ্টির ও বর্ষার সময় এখানে বুক পর্যন্ত পানি হয়, বর্ষার মৌসুমে দুই থেকে তিন মাস এ ঘরগুলোতে বসবাস করা সম্ভব হবে না। তাই আমরা উপহারের ঘর তালা দিয়ে উঁচু এলাকায় আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি।
ভুক্তভোগী সিদ্দিক প্রামাণিক ও জাবেদ আলী বলেন, ঘরের চারিদিকে পানি। জলাবদ্ধতার কারণে যাওয়া-আসা খুব দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাই আপাতত পরিবার নিয়ে অন্য জায়গায় থাকছি।
স্থানীয় বাসিন্দা আওয়ামী লীগ নেতা আজাহার আলী সরকার ক্ষোভের সাথে বলেন, এ আশ্রয়ণ প্রকল্পের সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনেক আবেগ ভালোবাসা জড়িত। অথচ সেই ভালোবাসার ঘরগুলো অপরিকল্পিতভাবে মাঠের মধ্যে নিচু জমিতে নির্মাণ করা হলো তা বোধগম্য নয়। তিনি বলেন, পানি নেমে গেলে ঘরগুলো ধসে যেতে পারে।
উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান বলেন, গোপালনগর চকপাড়া গ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আটটি ঘরের নির্মাণকাজ শেষে উপকারভোগীদের বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে কয়েক মাস আগে। অতিরিক্ত বরাদ্দ না থাকায় জায়গাটি উঁচু করা সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, ওই সময় জায়গা সঙ্কট ছিল। আর এসি ল্যান্ড অফিস থেকে জায়গা নির্ধারণ করে দেয়া হয়। আমরা শুধু ঘর নির্মাণ করি।
ফরিদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন আরা বলেন, বিষয়টি জানার পর আমি জায়গাটি ঘুরে দেখেছি। বর্ষার পানি নেমে গেলে এ সমস্যার সমাধানে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা