২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

মেঘনার তীর হতে পারে পর্যটন কেন্দ্র

-

মনোরম পরিবেশ, নদীর ঢেউ আর বাহারি ডিজাইনের ব্লকে নির্মিত হয়েছে মেঘনার পাড়। নানান রঙে সাজানো ব্লকের উপর বসে মেঘনার বিশাল জলরাশির দিকে দৃষ্টি গেলে নিমিষেই যে কারো মন জুড়িয়ে যায়। ঢেউয়ের তোড়ে হেলেদুলে মেঘনায় মাছ শিকার করে জেলেরা। শীতল বাতাস ও নদীর ঢেউ আকৃষ্ট করে বিকেল বেলায় ঘুরতে আসা প্রকৃতিপ্রেমীদের।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, নদীভাঙন রোধে তজুমদ্দিন উপজেলা শহর রক্ষা বাঁধে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা ব্যয়ে সিসি ব্লক স্থাপনের কাজ বাস্তবায়ন করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। নানা রঙে রঙিন ব্লকের কারণে পাল্টে গেছে নদীর পাড়ের বেড়িবাঁধের সার্বিক চিত্র। বেড়িবাঁধের কাজে ব্যবহৃত ব্লকগুলো সাজানো হয়েছে বাহারি রঙে। তজুমদ্দিনের মহিষখালী থেকে দক্ষিণ দিকে কেয়ামূল্যাহ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ছয় কিলোমিটার বিস্তৃত বেড়িবাঁধ এখন সৌন্দর্যপ্রেমীদের জন্য আকর্ষণের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। ঘুরতে আসা তজুমদ্দিন উপজেলা পল্লী দারিদ্র্যবিমোচন কর্মকর্তা মনোরঞ্জন দে বলেন, আগামীর সম্ভাবনাময় পর্যটন কেন্দ্র তজুমদ্দিনের মেঘনার পাড়ে ভালোবাসার টানে ছুটে যাই সৌন্দর্য উপভোগ করতে। নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন এমপির প্রচেষ্টায় এ অঞ্চলের মানুষ ভাঙনের ভয়াল থাবা থেকে যেমন রক্ষা পেয়েছে। তেমনি ব্লকের সৌন্দর্যে মুগ্ধ সবাই; তাই এটিই আগামীর পর্যটন স্পট।
ব্লক পাড়ে ঘুরতে আসা তজুমদ্দিন উপজেলা সহকারী (প্রাথমিক) শিক্ষা কর্মকর্তা ইন্দ্রজিৎ দেবনাথ বলেন, তজুমদ্দিনে অন্য কোনো বিনোদন কেন্দ্র না থাকায় প্রকৃতিপ্রেমীরা বিকেল বেলায় অবসর সময়ে নদীর পাড়ের বেড়িবাঁধে ঘুরতে আসে পরিবার পরিজন নিয়ে। বেড়িবাঁধে রঙ-বেরঙের যেসব ব্লক বসানো হয়েছে তাতে সৌন্দর্যের মাত্রা অনেক গুণ বেড়ে গেছে।


আরো সংবাদ



premium cement