২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

গরু ছাগলের দখলে আমড়াগাছিয়া দাখিল মাদরাসা

করোনায় মাদরাসা বন্ধ থাকায় শ্রেণিকক্ষে বেঁধে রাখা গরু-ছাগল: নয়া দিগন্ত -

করোনাকালীন মাদরাসা বন্ধ। তবে ক্লাসরুমগুলোতে থরে থরে সাজোনো রয়েছে বেঞ্চ টেবিল। আছে শিক্ষকের চেয়ারও। শিক্ষার্থীদের কোনো সাড়া শব্দ বা হইচই নেই। তবে মাদরাসা বন্ধ থাকার সুযোগ নিয়েছেন মাদরাসারই কিছু কর্মচারী। তারা মাদরাসার ক্লাস রুমগুলোকে গরু ছাগলের ডেরা বানিয়েছেন। এমন ঘটনা ঘটেছে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের আমড়াগাছিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসায়। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে চলছে সমালোচনা।
একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, মাদরাসা নয় এটা যেন শিক্ষক-কর্মচারীদের গোয়ালঘর। মাদরাসার কক্ষে গরু ছাগল বাঁধা হচ্ছে নিয়মিত। বন্ধ থাকার সুযোগে মাদরাসার শ্রেণিকক্ষ দখল করে গোয়ালঘরে রূপ দিয়েছেন মাদরাসারই শিক্ষক-কর্মচারীরা। সরেজমিনে দেখা যায়, মাদরাসার একটি কক্ষে নাইটগার্ড শাহীন বিশ্বাসের গরু বাঁধা। অন্য দুই কক্ষে এলাকার বারেক বিশ্বাস ও মাদরাসার সহকারী কারি আফজাল বিশ্বাসের ছাগল বেঞ্চের উপরে ও নিচে বসে পাতা চিবাচ্ছে।
মাদরাাসার সাবেক শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ বলেন, এ প্রতিষ্ঠানে অনেক আগে থেকেই তারা গরু ছাগল বাঁধেন। এখন তো বন্ধ, কোনো শিক্ষার্থী নেই, সেই স্থান দখলে নিয়েছে তাদের গরু ছাগল। নাইটগার্ড শাহীন বিশ্বাস বলেন, আমি আজকেই গাভী এখানে নিয়ে এসেছি। আর কর্তৃপক্ষ তো কিছু বলে না। ছাগলগুলো আফজাল হুজুর ও বারেক বিশ্বাসের।
সহকারী কারি আফজাল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অসুস্থ জানিয়ে কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন।
মাদরাসা পরিচালনা কমিটি ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এ টি এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গরু ছাগল রাখার জন্য নয়। এমন করে থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি সুপারকে বিষয়টি জানাবেন বলে জানিয়েছেন।
মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার ইউসুফ মাওলানা বলেন, আমি অনেকবার তাদের নিষেধ করেছি। কিন্তু আমার কথা তারা শুনেন না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া ফেরদৌস বলেন, সরেজমিন পরিদর্শন করার জন্য মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে বলা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement