লকডাউনে বিপুল লোকসানে পোলট্রি খামারিরা
- আত্রাই (নওগাঁ) সংবাদদাতা
- ৩১ জুলাই ২০২১, ০০:০৫
নওগাঁর আত্রাইয়ে লকডাউনের প্রভাবে মুরগি খামারিদের চরম লোকসান গুণতে হচ্ছে। এক দিকে কোরবানির ঈদ অন্য দিকে মুরগিও বিক্রি হচ্ছে না। ফলে খামারের মুরগি নিয়ে চরম বিপাকে খামার মালিকরা।
জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ছোট বড় দেড় শতাধিক মুরগির খামার রয়েছে। এসব খামারে ব্রয়লার ও সোনালি জাতের মুরগি উৎপাদন হয়ে থাকে। খামারিরা মোটা অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করে মুরগি উৎপাদন করে থাকেন। এসব মুরগি উৎপাদনে খামার তৈরি, শ্রমিক নিয়োগ, রুটিন মতো খাবার পরিবেশন ও পরিচর্যা সবকিছু মিলিয়ে খাবারের উপযোগী মুরগি তৈরি করতে একজন খামার মালিককে অনেক অর্থ বিনিয়োগ করতে হয়। সে অনুযায়ী মুরগির দাম না থাকায় খামারিদের এখন চরম লোকসান গুণতে হচ্ছে।
লকডাউনের আগে বাজারে মুরগির যে দাম ছিল তাতে তারা বেশ লাভবান হলেও এখন তাদের মুরগি বাজারজাত করতে না পারায় হতাশ হয়ে পড়েছেন।
জানা যায়, লকডাউনের আগে সোনালি মুরগি ২২০ থেকে ২৪০ টাকা এবং ব্রয়লার মুরগি ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি পাইকারি দরে বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে লকডাউনের প্রভাবে সেই সোনালি মুরগি ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা এবং ব্রয়লার মুরগি ৯০ থেকে ১১০ টাকা কেজি পাইকারি দরে বিক্রি হচ্ছে। তাও পাইকারি ক্রেতা অনেক কমে গেছে।
উপজেলার তারাটিয়া গ্রামের মুরগি খামারি আব্দুস সবুর বলেন, তার খামারে প্রায় তিন হাজার মুরগি উৎপাদন হয়ে থাকে। মুরগিগুলো বিক্রির উপযোগী হলেও লকডাউনের কারণে বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না। বাজারে মুরগির দাম কম। অথচ তাদের খাদ্যসামগ্রীর দাম ও শ্রমিকের মজুরি অনেক বেশি। তাই বেশি খরচে মুরগি উৎপাদন করে কম মূল্যে এগুলো বিক্রি করে অনেক লোকসান গুণতে হচ্ছে। ক্রমাগত লোকসানের কারণে আমার তিন খামারের মধ্যে দু’টি খামার ইতোমধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে।
উপজেলার সাহেবগঞ্জ বাজারে মুরগি বিক্রেতার নাজমুল হক নিরব বলেন, আগে প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকার মুরগি বেচাকেনা হতো। এখন লকডাউনের কারণে মুরগির বাজারে ধস নেমে এসেছে। বর্তমানে প্রতিদিন পাঁচ-ছয় হাজার টাকা বেচাকেনা করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ফলে পরিবার পরিজন নিয়েও আমাদের অনেক কষ্টে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা