১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`
উত্তাল সাগর

দাদনের ঋণ নিয়ে দুশ্চিন্তায় জেলেরা

-

উপকূলের বৃহত্তম মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে বসে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন জেলেরা। আর ঘাটে বসেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে মাছ শিকারের জন্য কেনা বরফ ও বাজার-সদাই। অপর দিকে নিষেধাজ্ঞার সময়ে পরিবার-পরিজনের ভরণ-পোষণে অনেক জেলেই মহাজনদের কাছ থেকে দাদন নিয়ে ঋণগ্রস্ত। এখন পর্যন্ত সাগর উত্তাল থাকায় মাছ ধরতে যেতে পারেনি। এমন পরিস্থিতিতে জেলেরা বলছেন, এ সময়ে নদ-নদীতে ও সাগরে ইলিশ ধরতে না পারায় তারা চরম হতাশ।
ট্রলার মালিক মাসুম মিয়া বলেন, বরফসহ প্রায় দুই লাখ টাকার বাজার-সদাই দিয়ে সাগরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছি কিন্তু ঘাট থেকেই এখন পর্যন্ত জেলেরা যেতে পারেনি। এমন অবস্থায় ঘাটে বসেই বাজার-সদাই শেষ হয়ে যাচ্ছে, বরফও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় লাভের মুখ তো দেখবই না বরং লোকসানের ঘানি টানতে টানতে দিন পার হয়ে যাবে। বাকিতে বাজারের টাকা এবং দাদনের টাকা সময়মতোই পরিশোধ করতে হবে।
জাহাঙ্গীর হোসেন মাঝি বলেন, ৬৫ দিন মাছ ধরায় নিষেধ থাকে। এ সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে অতিকষ্টে দিন কাটিয়েছি। মাটির কাজ করে সংসার চালিয়েছি। ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে বুকভরা আশা নিয়ে সাগর উদ্দেশে রওনা দিলেও ঘাটে বসে বাজার-সদাই খেয়ে দিন পার করছি। মোগো গুরাগারা লইয়া খামু কী আর দাদনের টাহাই বা কেমনে দিমু? এ বিষয়ে বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিত কুমার দেব বলেন, মৌসুমে সাগর থেকে ইলিশ নদ-নদীতে বিচরণ করতে আসে। এ সময় প্রায় সব খানেই ইলিশ ধরা পড়ে। আমরা আশা করি, শিগগিরই নদী ও সাগরে ইলিশ ধরা পড়তে শুরু করবে।


আরো সংবাদ



premium cement