১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দিনে দু’বার জোয়ারে তলিয়ে যায় কলাপাড়ার ৭ গ্রাম

-

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে জোয়ারের পানিতে ভাসছে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া ইউনিয়ন। দিনে দুই দফা জোয়ারের পানিতে ডোবে লালুয়ার সাত গ্রাম।
সাগর মোহনা সংলগ্ন পশরবুনিয়া, চরচান্দ্রপাড়া, বানাতিপাড়া, নয়াকাটা, চৌধুরীপাড়া, নাওয়াপাড়া, ছোট পাঁচ নম্বর, বড় পাঁচ নম্বর ও মুন্সীপাড়া গ্রাম রাবনাবাদ নদের পাড়ে অবস্থিত। গ্রামের পাশ দিয়ে একসময় ছিল বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ। ঝড়-জলোচ্ছ্বাস হলে বাঁধটিই এই এলাকার মানুষকে রক্ষা করত। সেই বাঁধটি পুরোপুরি বিলীন হয়ে গেছে। ঘূর্ণিঝড় সিডরের সময় এই বাঁধের ক্ষতি হয়। এরপর কয়েক দফা মেরামত করা হয়। তবে রাবনাবাদ নদের করাল গ্রাসে পুরো বাঁধটিই ধীরে ধীরে ভেঙে বিলীন হয়ে গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, লালুয়া ইউনিয়নে ৪৭/৫ পোল্ডারে সাত কিলোমিটারের অবস্থা খুবই নাজুক। চাড়িপাড়া, নাওয়াপাড়া, বানাতিপাড়া, ১১ নম্বর হাওয়া, চৌধুরীপাড়া, নয়াকাটা, মুন্সীপাড়া, চান্দুপাড়া, হাসনাপাড়া, চরচান্দুপাড়া ও পশরবুনিয়া গ্রামে ৩০ হাজার মানুষের বসবাস।
লালুয়ার মোট আয়তন ছিল ৪৯ বর্গকিরোমিটার। ক্রমান্বয়ে তা কমে বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৩৯ বর্গকিলোমিটারে। এই হিসাব অনুযায়ী ১০ বর্গকিলোমিটার জমি নদীতে বিলীন হয়েছে। লালুয়া ইউনিয়নে ২৭টি গ্রাম রয়েছে ও আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে মাত্র ১৭টি।
বাঁধ না থাকায় ইয়াসের প্রভাবে রাবনাবাদ নদের জোয়ারের পানি অনায়াসে ঢুকে পড়েছে গ্রামে। দুই দফা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে সাতটি গ্রাম। সামনে জোয়ারের পানিতেও প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বেশ কিছু বাড়িঘর জোয়ারের চাপে ভেঙে গেছে। অনেকের টিনের ঘরের চাল, কারো বারান্দা, রান্নাঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপড়ে পড়েছে কিছু গাছপালা। চাড়িপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি রয়েছে সবচেয়ে বড় ঝুঁকিতে। চাড়িপাড়া সরকারি বিদ্যালয়ের দু’টি ভবন রাবনাবাদ নদের ভাঙনের মুখে পড়েছে। যেকোনো সময় ভবন দু’টি ভেঙে যেতে পারে।
চারিপাড়া ভাঙা বেড়িবাঁধের পাশে ঝুপড়ি ঘর করে আশ্রয় নিয়েছে হারুন মিয়া। নদীভাঙনে নিঃস্ব এই পরিবারটি আবার ভাঙনের মুখে। হারুনের স্ত্রী রাহিমা বেগম বলেন, ‘জোয়ার-ভাটায় পানি উইড্যা সব ডুইব্বা গ্যাছে। জোয়ার হইলেই ঘরে পানি ওডে। গত জোবায় (অমাবস্যায়) তো ঘরের মাচায় উইটা বইয়া থাকতে হইছে রাইতে। ঘরে ছোড মাইয়া। রাইতে জোয়ার হইলে বড় বড় চাঙ্গইল লইয়া বান্দের মাডি পড়ার শব্দ হুনি। বুকের মধ্যে তহন ধরফর শুরু হয়।’
লালুয়া ইউপি চেয়ারম্যান শওকত হোসেন তপন বিশ্বাস বলেন, ‘বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ না থাকায় ওই গ্রামগুলোতে জোয়ারের পানি উঠছে আর নামছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড শুধু বেড়িবাঁধ করে দেবে বলে আশার বাণী শুনাচ্ছে। তারা কিছুই করছে না।’
কলাপাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী হালিম সালেহী বলেন, পায়রা বন্দরের ভেতরের বেড়িবাঁধের কাজগুলো পায়রা বন্দর করবে। আর বাইরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে কাজগুলো করা হবে। পাউবো পোল্ডার পুনর্বাসন প্রকল্প প্রস্তাব পাউবোর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement
ফরিদপুরের গণপিটুনিতে নিহত ২ নির্মাণশ্রমিক জাতিসঙ্ঘে ফিলিস্তিনি সদস্যপদ লাভের প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো তীব্র তাপপ্রবাহে বাড়ছে ডায়রিয়া হিটস্ট্রোক মাছ-ডাল-ভাতের অভাব নেই, মানুষের চাহিদা এখন মাংস : প্রধানমন্ত্রী মৌসুমের শুরুতেই আলু নিয়ে হুলস্থূল মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে মূল্যস্ফীতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এত শক্তি প্রয়োগের বিষয়টি বুঝতে পারেনি ইসরাইল রাখাইনে তুমুল যুদ্ধ : মর্টার শেলে প্রকম্পিত সীমান্ত বিএনপির কৌশল বুঝতে চায় ব্রিটেন ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট আজ নিষেধাজ্ঞার কারণে মিয়ানমারের সাথে সম্পৃক্ততায় ঝুঁকি রয়েছে : সেনাপ্রধান

সকল