২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পাইকগাছায় বেড়েছে পাটের আবাদ

-

ভালো ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় পাইকগাছায় আবাদ বেড়েছে পাটের। তবে প্রথমত অনাবৃষ্টিতে বীজ বপনে সমস্যা হলেও পরবর্তীতে স্বাভাবিক বৃষ্টিতে ভালো হয়েছে পাটের আবাদ।
কৃষি অফিস জানায়, এবার উপজেলায় ৪১০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে পাটের। গত বছর এর পরিমাণ ছিল ৩৮৫ হেক্টর। গতবারের চেয়ে এবার আবাদ বেড়েছে ২৫ হেক্টর জমিতে। লবণাক্ত পাইকগাছার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে গদাইপুর, হরিঢালী, কপিলমুনি, রাড়–লী ও পৌরসভার কিছু জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে।
কৃষকরা জানান, কয়েক বছর পাটের দাম কম ও খানাখন্দক কমে যাওয়ায় পাট জাগ দেয়ার জায়গার অভাবে এক জায়গায় একাধিকবার পাট জাগ দিতে হয়। এতে সময় মতো পাট জাগ দিতে না পারায় পাটের আঁশ ভালো পাওয়া যায় না। এরকম নানা সঙ্কটে উপজেলায় পাটের আবাদ কমে যায়। তবে গত বছর পাটের দাম ভালো পাওয়ায় এবার কৃষকরা ফের পাট চাষে ঝুঁকেছেন।
এ দিকে পাট অধিদফতরের পক্ষে পাট চাষিদের মধ্যে বিনামূল্যে রাসায়নিক সরবরাহ করা হয়েছে। জনপ্রতি ৪ কেজি ইউরিয়া, ৬ কেজি টিএসপি ও ৩ কেজি করে এমওপি সার সরবরাহ করা হয় ওই প্যাকেজে। এছাড়া কৃষি অফিসের পক্ষে পাটের বীজ সরবরাহের পাশাপাশি নিয়মিত ক্ষেত পরিদর্শন ও পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে এবার পাইকগাছায় পাটের আবাদ ভালো হয়েছে। আবহাওয়ার অনুকূল পরিবেশে পাটের বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষি অফিসের পাশাপাশি কৃষকরা।
কৃষি অফিস সূত্র জানায়, এর আগে প্রথম লবণসহিষ্ণু জাত হিসেবে বিজেআরআই দেশী পাট-৮ ছিল। এখন বিজেআরআই দেশী পাট-১০ অনুমোদন পেয়েছে। যা দেশী পাট-৮ থেকে ৩ ডিএস/এম (ডেসিসিমেন্স পার মিটার-লবণাক্ততার একক) বেশি লবণসহিষ্ণু। এ পাট ১২ ডিএস/এম লবণাক্ত জমিতে ভালো হবে। বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিজেআরআই) সূত্রের বরাদ দিয়ে এসব তথ্য জানানো হয়।
এ জাতের পাটের উদ্ভাবন টিমের প্রধান ছিলেন বিজেআরআইয়ের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (সিসি) কৃষিবিদ ড. নার্গিস আক্তার। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এ জাতের মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ত এলাকা পাট চাষের আওতায় আনা সম্ভব হবে। এতে কৃষকরা বেশ লাভবান হবেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement