২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আমতলীতে খাল ভরাট করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ

আমতলীতে এভাবেই ঘর তুলে ও বালু ভরাট করে খাল দখলে নিচ্ছে প্রভাবশালীরা: নয়া দিগন্ত -

আমতলী পৌর শহরের সবুজবাগে সরকারি খাল দখলে নিয়ে স্থানীয় এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি উপজেলা ভূমি অফিসের জানা থাকলে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রায় একশ’ বছর আগে পানি নিষ্কাশনের জন্য আমতলীর সবুজবাগ এলাকার খালটি খনন করা হয়। ১৯৬৭ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ করায় প্রবাহমান খালটি বদ্ধ জলাশয়ে পরিণত হয়। ওই বদ্ধ জলাশয়ের পানি খাল পাড়ে বসবাসরত মানুষ চাষাবাদসহ প্রয়োজনীয় কাজে দীর্ঘ দিন ধরে ব্যবহার করে আসছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণের পর থেকেই দখল হতে থাকে খালটি। গত ৫৫ বছরে খালের দুই পাড় শতাধিক প্রভাবশালী দখলে নিয়ে পাকাস্থাপনা নির্মাণ করেছে। খাল দখলের কারণে ময়লা আবর্জনায় এর পানি প্রায় ব্যবহার অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। এ দিকে ১৯৯০ সালে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ স্থানীয় কিছু উদ্যোক্তা উপজেলা ভূমি অফিস থেকে মাছ চাষের জন্য খালটি ইজারা নেয়। গত ৩১ বছর ধরে ওই খালে তারা মাছচাষ করছে। সূত্র জানায়, সম্প্রতি গুলিশাখালী ইউনিয়নের কালিবাড়ী গ্রামের জসিম উদ্দিন হাওলাদার বাঁশের বেড়া দিয়ে খাল দখলে নিয়ে বালু ভরাট করেছে। ওই খালে বর্তমানে পাকা স্থাপনাও নির্মাণ করছেন তিনি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি বলেন, স্থানীয়রা অনেক ক্ষেত্রে খালের পানির ওপর নির্ভরশীল। তারা খাল দখল মুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন। অভিযুক্ত প্রভাবশালী জসিম উদ্দিন হাওলাদার সরকারি খাল দখলের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি রেকর্ডীয় জমিতে ভবন নির্মাণ করছি। খালের মধ্যে আমার আরো দুই ফুট জমি রয়েছে।
সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার অ্যাডভোকেট শাসসুদ্দিন আহম্মেদ শানু বলেন, খালটি সমিতির মাধ্যমে ইজারা নিয়ে আমরা মাছ চাষ করেছি। প্রায়ই প্রভাবশালীরা খালটি দখল করে নিচ্ছে। এভাবে দখল হয়ে গেলে ভবিষ্যতে দখল দূষণে খালটি অস্তিত্ব হারাবে।
আমতলী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেলে সরকারি খাল দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement