২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

প্রতিবন্ধিতা জয়

-

হুইল চেয়ারেই তার বেড়ে ওঠা। জন্মগতভাবেই দুই হাত-পা অস্বাভাবিক। দুই হাঁটুতে প্লেট। হামাগুড়ি দিয়ে চলাচল করে। কিন্তু মুখে সবসময় হাসি লেগে থাকে তার। তবে হুইল চেয়ার আর বিছানায় বসেই প্রতিবন্ধিতাকে জয় করে নিজেকে স্বাবলম্বী করে তুলেছে মিতু।
পড়ালেখার পাশাপাশি হস্তশিল্পের সুনিপুণ কাজে রয়েছে তার দক্ষতা। অদম্য এই কিশোরী মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার ধূলণ্ডী গ্রামের মিতু রায় (১৩)। শারীরিক প্রতিবন্ধীকতা কখনো দমিয়ে রাখতে পারেনি তার প্রতিভাকে। দিনে দিনে সাফল্যের আরো পথ পাড়ি দিচ্ছে সে।
ঘিওর উপজেলার বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের ধূলন্ডী গ্রামের অজিত রায়ের দুই মেয়ের মধ্যে ছোট মিতু রায়। মহাদেবপুর বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী। বাড়ি থেকে স্কুল প্রায় তিন কিলোমিটার।
কথা হলে মিতু রায় জানায়, তার ইচ্ছে ছিল এমন কিছু একটা করার যেখানে তার কারো কাছে ধরনা দিতে হবে না। বরং নিজের প্রতিষ্ঠানে কিছু প্রতিবন্ধীদের চাকরি দিবে। সে কখনো নিজেকে দুর্বল ভাবেনি।
মিতুর বাবা কাঁঠ মিস্ত্রি অজিত রায় বলেন, দুই মেয়ের মধ্যে এই ছোট মেয়েকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম। কিন্তু এখন আমি এই প্রতিবন্ধী মেয়ের জন্য গর্ব করি। মিতু কুটির শিল্পের কাজ শেখার পর নিজেই ঘরে বসে বিভিন্ন সমাগ্রী তৈরি করে তা বিক্রি করে সংসারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে এনেছে।
মিতুর মা যমুনা রায় জানান, জন্মগতভাবেই মিতুর দুই হাত-পা অস্বাভাবিক। হামাগুড়ি দিয়ে চলাচল করে। হুইল চেয়ারেই তার বেড়ে ওঠা। ডাক্তার-কবিরাজ দেখিয়েছি। কাজ হয়নি।
বালিয়াখোড়া ইউপি চেয়ারম্যান আওয়াল খান বলেন, সমাজে প্রতিবন্ধীরা যে বোঝা নয়, মিতু রায় তার উদাহরণ। মিতু রায় পরিশ্রম করে সংসারের দুঃখ-কষ্ট দূর করতে চেষ্টা করছে। পরিবারের সদস্যদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। আমরা তাকে প্রতিবন্ধী ভাতা দিয়ে আসছি।


আরো সংবাদ



premium cement