২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`
একান্ত সাক্ষাৎকারে কাহালু পৌরমেয়র মান্নান

সমস্যা সমাধানে সবার সহযোগিতা চাই

-

বগুড়া জেলার কাহালু উপজেলা সদরকে পৌরসভা ঘোষণা করা হয় ২০০২ সালের ২১ নভেম্বর। ঘোষণার ১৯ বছর পরেও ‘গ’ শ্রেণীভুক্ত রয়ে গেছে পৌরসভাটি। বর্তমানে এর ওয়ার্ড সংখ্যা ৯, আয়তন প্রায় ৭ বর্গকিলোমিটার (৬ দশমিক ৮৩ ), জনসংখ্যা প্রায় ২৫ হাজার, ভোটার সংখ্যা ১৩ হাজার। সর্বশেষ নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়রপ্রার্থী আব্দুল মান্নান (ভাটা মান্নান) প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও বিদায়ী মেয়র হেলাল উদ্দিন কবিরাজকে পরাজিত করে প্রথমবারের মতো মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। এরপর দায়িত্ব গ্রহণ করে সর্বাত্মক কাজ করছেন তিনি। সম্প্রতি পৌরসভার সার্বিক বিষয় নিয়ে নয়া দিগন্তের সাথে কথা বলেছেন মেয়র মান্নান। আমাদের কাহালু সংবাদদাতা আব্দুল কাদেরের সহযোগিতায় সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করেছেন নয়া দিগন্তের বগুড়া অফিসের স্টাফ রিপোর্টার আবুল কালাম আজাদ।
নয়া দিগন্ত : আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন?
মেয়র : অলাইকুম আস-সালাম। আল-হামদুলিল্লাহ, ভালো আছি আল্লাহর রহমতে।
নয়া দিগন্ত : পৌরসভার প্রধান সমস্যা কী বলে আপনি মনে করেন?
মেয়র : পৌরসভার প্রধান সমস্যা জলাবদ্ধতা। মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণের পরই জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ শুর করেছি। ছোট ড্রেন পরিষ্কার করা হচ্ছে। বড় ড্রেনগুলো অনেক দিন ধরে অপরিষ্কার। তাই বড় ড্রেন পরিষ্কার করতে টেন্ডার আহ্বান করা হচ্ছে। এ ছাড়া কিছু রাস্তা এখনো কাঁচা রয়েছে। সেসব রাস্তা পাকাকরণ এবং রাস্তার পাশে ড্রেন নির্মাণ করা হবে। সেই সাথে কিছু রাস্তা মেরামত করা হবে।
নয়া দিগন্ত : আপনার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণে কী কী পদক্ষেপ নিয়েছেন ?
মেয়র : আমার অন্যতম নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল আলাদা গোহাটি ও ধানহাটি প্রতিষ্ঠা করা। ইতোমধ্যে গোহাটি বসানো হয়েছে এবং সেখানে গরু, ছাগল কেনাবেচা শুরু হয়েছে। এতে পৌরবাসী খুশি। এখন ধানহাটি বসানো হবে। এ ছাড়া বিদ্যমান হাটবাজার সংস্কার ও আধুনিকীকরণ করা হবে। সেই সাথে প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে পানি সরবরাহ প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ শুরু হয়েছে।
নয়া দিগন্ত : পৌরসভার আর্থিক খাতের অবস্থা কী ?
মেয়র : পৌরসভার আর্থিক অবস্থা শোচনীয়। বিদ্যুৎ বিল বাবদ বাকি ৫০ লাখ টাকা, কর্মকর্তা কর্মচারীর বেতনভাতা বাকি ৩৫ মাস এবং মেয়র ও কাউন্সিলরদের মাসিক সম্মানী বাকি ১৪ মাস। এ ছাড়া বিভিন্নভাবে লোন রয়েছে লাখ লাখ টাকা। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আয় বাড়ানোর চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যে লোন পরিশোধ শুরু হয়েছে ও বকেয়া বেতনভাতা পরিশোধের পদক্ষেপ নিয়েছি। নাগরিকদের কর না বাড়িয়ে করের খাত বাড়ানোর কাজ চলছে।
নয়া দিগন্ত : পৌরবাসীর উদ্দেশ্যে আপনার বক্তব্য কী?
মেয়র : নাগরিকসেবা প্রদানে পৌর পরিষদ বদ্ধপরিকর। তাই পৌরসভাকে সহযোগিতা করতে নিয়মিত কর পরিশোধে উৎসাহিত করা হচ্ছে। কারণ আর্থিক খাত শক্তিশালী হলে পৌরসভার সকল সমস্যা সমাধান করা যাবে।
নয়া দিগন্ত : নয়া দিগন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ।
মেয়র : সব সময় পৌরবাসীর পাশে থেকে সহযোগিতা পাবো বলে আশা করি। সেই সাথে পৌরসভার কথাগুলো তুলে ধরার জন্য নয়া দিগন্তকে ধন্যবাদ।

 


আরো সংবাদ



premium cement