২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

উত্তাল মেঘনায় ডেঞ্জার জোনে চলছে ট্রলার স্পিডবোট

-

লকডাউনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে উত্তাল মেঘনায় ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটের ডেঞ্জার জোনে চলাচল করছে ছোট ছোট ট্রলার ও স্পিডবোট। এতে এক দিকে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে, অন্য দিকে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রয়োজনের তাগিদে অনেকটা বাধ্য হয়ে যাত্রীরা যাতায়াত করলেও তাদের জিম্মি করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন ট্রলার মালিকরা।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, অবৈধ এসব নৌযান চলাচল ঠেকাতে অভিযান চললেও ঘাট থেকে দূরে বাঁধের পাশে বিভিন্ন জায়গা থেকে যাত্রী উঠিয়ে পারাপার করা হচ্ছে। তবে লক্ষ্মীপুর থেকে ভোলাগামী ট্রলারের সংখ্যাই বেশি বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। নৌ-দুর্ঘটনা এড়াতে এসব নৌযান চলাচল বন্ধে কঠোর অভিযানের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সূত্র জানায়, ১৫ মার্চ থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটের মেঘনা নদী ডেঞ্জার জোনের আওতায় থাকে। তাই এ রুটে সি-সার্ভে সনদ এবং ৬৫ ফুটের নিচে ছোট ছোট লঞ্চ বা ট্রলার চলাচল নিষিদ্ধ।
অন্য দিকে করোনা সংক্রমণ রোধে আন্তঃজেলা যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এসব কারণে ট্রলার চলাচল বন্ধ রাখার নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু এ নিষেধাজ্ঞা যেন মানছেন না ট্রলার মালিকরা। প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ঝুঁকিপূর্ণভাবে এই রুটে ছোট ছোট ট্রলার দিয়ে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। ট্রলার বা স্পিডবোট চলাচল ঠেকাতে প্রশাসনের অভিযান চললেও তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে আড়ালে চলাচল করছে এসব ট্রলার।
বিশেষ করে ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ট্রলার মালিকরা। প্রতিদিন শত শত যাত্রী পারাপার হচ্ছে ট্রলারে। প্রয়োজনের তাগিদে অনেকটা বাধ্য হয়ে যাত্রীরা যাতায়াত করলেও তাদের জিম্মি করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। ১০০ টাকার ভাড়া নেয়া হয় ৪০০-৫০০ টাকা। ট্রলার যাত্রী জাহানারা অভিযোগ করে বলেন, অনেক ঝুঁকি নিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছি, কিন্তু ভাড়া বেশি আদায় করা হচ্ছে।
যাত্রী জসিম বলেন, আমাদের জিম্মি করে বেশি ভাড়া নিচ্ছেন ট্রলার মালিকরা, দেখার যেন কেউ নেই। জামাল উদ্দিন বলেন, লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকার সুযোগ নিচ্ছে ট্রলারগুলো। উত্তাল মেঘনায় যাত্রীদের উঠিয়ে পারাপার করছে, এতে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
এদিকে উত্তাল নদীতে ছোট এসব ট্রলারে গাদাগাদি করে ৫০-৬০ জন করে যাত্রী পরিবহনের কারণে কেউ মানছে না স্বাস্থ্যবিধি বা সামাজিক দূরত্ব। এতে ঝুঁকি রয়েছে করোনা সংক্রমণের।
অবৈধ ট্রলার চলাচল বন্ধে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন ভোলা নৌ অফিসার ইনচার্জ সুজন চন্দ্র পাল। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমরা অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে আটক করেছি। ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাদের জরিমানা করা হয়েছে। তারপরও অভিযানের আড়ালে কিছু ট্রলার চলছে, আমরা তাদের ধরতে কঠোর অভিযান চালাচ্ছি।
ভোলা বিআইডব্লিটিএ সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুট ডেঞ্জার জোনের আওতায়। সেখানে ছোট ছোট ট্রলার বা স্পিডবোট চলা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। সি-সার্ভে ছাড়া নৌযান চলার অনুমতি নেই।
এ দিকে শিগগিরই অবৈধ নৌ চলাচল পুরোপুরি বন্ধ না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছে ভোলাবাসী।


আরো সংবাদ



premium cement